প্রতিবন্ধকতাকে জয় করা সুদীপ্ত একটি চাকরি চান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৯:০০ পিএম, ২৫ মে ২০২৩

একটি হাত, পা ও কোমরে সমস্যা থাকার পরও প্রতিবন্ধী সুদীপ্ত দে ছোটবেলা থেকেই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। অভাব অনটনসহ নানা প্রতিকূলতার মাঝেও পড়াশুনা করছেন। পাশাপাশি ইলেক্ট্রিশিয়ান ও কম্পিউটারে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর শহরের মন্টু ভূঁইয়া সড়কের বাদামতলা এলাকার শ্যামল চন্দ্র দে’র দুই ছেলে। বড় ছেলে সুদীপ্ত দে (মান্তু)। তিনি জন্মগতভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তবে প্রতিবন্ধী হলেও সমাজের বোঝা হতে চান না সুদীপ্ত। তাই ছোটবেলা থেকেই অভাব ও নানা প্রতিকূলতার মাঝে নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে মাদারীপুর সরকারি কলেজের বি.কম শেষ বর্ষের ছাত্র তিনি।

সংসারে অভাব অনটন তাদের নিত্যসঙ্গী। বাবা শ্যামল চন্দ্র দে একজন হার্টের রোগী। তেমন কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। তিনি বর্তমানে শহরের শহীদ বাচ্চু সড়কের একটি টাইলসের দোকানে সামান্য বেতনে কাজ করেন। সুদীপ্তর ছোট ভাই টিউশনি করে নিজের খরচ চালান।

সব মিলিয়ে সুদীপ্তর পরিবারে অভাব লেগেই থাকে। এই অভাব দূর করতে আর নিজে স্বাবলম্বী হতে একটি সরকারি চাকরি চান প্রতিবন্ধী সুদীপ্ত দে।

প্রতিবন্ধী সুদীপ্ত দে বলেন, আমি কারও করুণার পাত্র হয়ে নয়, সহযোগিতা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। গরিব ঘরের সন্তান ও প্রতিবন্ধী হয়েও ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী ছিলাম। বর্তমানে বি.কম শেষবর্ষের শিক্ষার্থী। তাছাড়া সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও আমি জড়িত। তাই আমি আমার যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী কোটায় একটি সরকারি চাকরির প্রত্যাশা করছি। এই চাওয়া আমার দীর্ঘদিনের।

সুদীপ্তর বাবা শ্যামল চন্দ্র দে বলেন, আমরা এমন একটি পরিবার না পারি কারো কাছে কিছু চাইতে, না পারি কিছু বলতে। শুনেছি প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি ইচ্ছা করলে আমার ছেলের যোগ্যতা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় একটা সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। তিনি ছাড়া চাওয়ার মতো আমাদের আর কেউ নেই। তাই তার কাছে একটি সরকারি চাকরি আমাদের একমাত্র কাম্য। আমার ছেলের চাকরি হলে পুরো পরিবারটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন বলেন, ছেলেটি যেহেতু এখনো পড়াশুনা করছে তাই পড়াশুনার ব্যাপারে কোনো সযোগিতার প্রয়োজন হলে আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।