দেবে যাওয়া কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ২৬ মে ২০২৩

গাইবান্ধায় বন্যার পানির চাপে দেবে যাওয়া কালভার্ট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। গত চার বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটির ওপর দিয়ে অবাধে যানবাহন চলাচল করছে। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার বাদিয়াখালি-তালুকজামিরা সড়কের শৌলতাড়ি নামে একটি কালভার্ট রয়েছে। ১৯৭৬ সালে যাতায়াতের জন্য কালভার্টটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০১৯ সালে বন্যার পানির প্রবল চাপে কালভার্টের পশ্চিম পাশের মাটি দেবে যায়।

jagonews24

সড়কটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। ফলে সিএনজি, মিনি ট্রাক, ট্রাক, মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এতে করে ওই স্থানে প্রায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।

আরও পড়ুন: কালভার্ট ভেঙে খালে, দুর্ভোগে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা শিক্ষার্থীরা 

স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ আলী বলেন, কালভার্টের পশ্চিম দিকে মাটি দেবে গিয়ে বেশ ঝুঁকিপ্রবণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ৪৭ বছরের আগের এ কালভার্টটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হলে মানুষ দুর্ঘটনা কবল থেকে রক্ষা পাবে।

বাদিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সরকার বলেন, অনেক পুরাতন কালভার্ট এটি। প্রতিনিয়ত এ কালভার্টে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। এখানে আরেকটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা দরকার।

jagonews24

এ সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মফিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। কিন্তু কালভার্টটির বাজে অবস্থা। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বাদিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৭৬ সালে কালভার্টটি নির্মাণ করে। এটি অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। ২০১৯ সালে বন্যার পানির চাপে পশ্চিম পাশের মাটি দেবে যাওয়ায় আরও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এ পথে চলাচল করতে ভয় হয়। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করা দরকার।'

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. বাবলু মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে কালভার্ট এলাকা পরিদর্শন করেছি। পুনঃনির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

শামীম সরকার শাহীন/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।