সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ
আহ্বায়ক কমিটিতেই পার দেড় যুগ
![আহ্বায়ক কমিটিতেই পার দেড় যুগ](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/mor-20230608141832.jpg)
দীর্ঘ দেড় যুগেও কমিটি না হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের কার্যক্রম। ১৯ বছর আগের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে বর্তমান সাংগঠনিক কার্যক্রম। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে কোনো কমিটি না হওয়ায় তৈরি হচ্ছে না নতুন নেতৃত্ব। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে যুবলীগের পদ-প্রত্যাশীদের মধ্যে।
দলীয় সূত্রমতে জানা যায়, সবশেষ ২০০৪ সালের ৪ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে মো. মতিউর রহমান মতিকে আহ্বায়ক করা হয়। যিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ওই কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মো. মনসুর আহমেদ ও এম এ জামানকে।
সদস্য হিসেবে রাখা হয় মো. কবির হোসেন, মো. মোস্তাফিজ, মো. মিজান মাস্টার, মো. শাহজাহান, মো. রেজা ফারুক, মো. মিজানুর রহমান, দিন মোহাম্মদ দিনু, মো. নেকবর আহমেদ, মো. নাজমুল ইসলাম বাবুল, মো. শহীদুল্লাহ, মো. তজিম উদ্দিন, মো. আতিকুর রহমান বাবু, মো. ফারুক আজম, মো. মানিক খন্দকার, মো. রফিকুল ইসলাম বাবু, মশিউর রহমান নিরব, মো. মামুন, শাহআলম, মো. মোফাজ্জল হোসেন, মো. মহিউদ্দিন, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. শামীম আহমেদ, মো. আসলাম, মো. নাসির, মো. জাহিদ, মো. ইকবাল হোসেন, মো. রবিউল ও মো. নাছির হোসেনকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯ বছরেও সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে এক প্রকার হতাশা কাজ করছে। পাশাপাশি ইউনিটটি নেতৃত্ব সংকটে পড়েছে। বর্তমানে নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা আর কারও নেই। সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই আগামী নির্বাচনের আগেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের নতুন কমিটি গঠন করে দলকে সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী করার তাগিদ নেতাকর্মীদের।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সদস্য মানিক খন্দকার বলেন, কী কারণে যুবলীগের কমিটি হচ্ছে না তা আমার জানা নেই। আমরাও চাই নতুন কমিটি হোক। তাহলে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি বলেন, ২০০৪ সালের দলের কঠিন মুহূর্তে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তখন পরিস্থিতি খারাপ থাকায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীকালে দল ক্ষমতায় আসলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ফলে এখনো পর্যন্ত কোনো কমিটি হচ্ছে না। তবে কেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে আমাদের আহ্বায়ক কমিটিকে কয়েকবার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, আমার বয়স হয়েছে তাই আমিও চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। এতে করে দল আরও সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী হবে। নতুন কমিটির মাধ্যমে নতুন যুবলীগ নেতা তৈরি হবে। তবে সিনিয়র নেতাদের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ থাকবে যাকেই পদ দেওয়া হবে তার যেন ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে দেওয়া হয়। কোনো হাইব্রিড যেন দলে জায়গা না পায়।
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জ্বল বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের কমিটি না থাকায় আমাদেরও দল পরিচালনা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতেও আর বেশিদিন বাকি নেই। নির্বাচনের কারণে নতুন কমিটি নাও হতে পারে। তবে আমরা চাই নির্বাচনের আগে নতুন কমিটি হোক।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের কমিটি কবে গঠন করা হবে, কোন হচ্ছে না তা আমারও জানা নেই। আগামীতে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দল সুসংগঠিত করতে যুবলীগের নতুন কমিটি গঠন করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আর নতুন কমিটির মাধ্যমে দল আগের তুলনায় শক্তিশালী হয়। রাজপথে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করা যায়।
তিনি বলেন, কমিটি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ হয়েছিল। তারা বলেছিলেন, নতুন কমিটি হবে। আশায় ছিলাম, এখনো আশায় আছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনেক জায়গাতেই কমিটি হচ্ছে। আশা করছি, জাতীয় নির্বাচনের আগেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগেরও নতুন কমিটি হবে।
এমআরআর/জিকেএস/এএসএম