বর্জনের পরও রাজশাহী সিটি নির্বাচনে দ্বিতীয় হাতপাখা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ২১ জুন ২০২৩

বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় সিলেট ও রাজশাহী সিটিতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবে রাজশাহী সিটি নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুরশিদ আলম ১৩ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। অন্যদের মধ্যে লাঙল প্রতীকের সাইফুল ইসলাম স্বপন ১০ হাজার ২৭২ এবং গোলাপফুল প্রতীকের প্রার্থী লতিফ আনোয়ার ১১ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়েছেন।

বুধবার (২১ জুন) রাত ৯টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলে ভোটগ্রহণ।

নির্বাচন বর্জন করার পরও ভোট পাওয়া প্রসঙ্গে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুরশিদ আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘জনগণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারলে আমাদের জয় হতো। ভোট বর্জনের পরও আমরা অনেকখানি এগিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ হয়তো না বুঝে কিংবা আমরা যে ভোট বর্জন করেছি সেটি না জেনে অথবা আবেগতাড়িত হয়ে আমাদের ভোট দিয়েছে। মানুষ যদি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারতো তবে আমরা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতাম।’

রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এদের মধ্যে এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ ভোটার। নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। আর ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার। বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।