বিক্রি না হওয়ায় নেইমার-মেসিকে নিজেই কোরবানি দিলেন ফার্মের মালিক
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর বাগানবাড়ি এলাকার আলী এগ্রো ডেইরি ফার্মের সবচেয়ে বড় গরু ও মহিষ ‘নেইমার’ এবং ‘মেসি’ বিক্রি হয়নি। এজন্য নিজেই পশু দুটি কোরবানি দিয়েছেন ওই খামারের মালিক।
রোববার (২ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলী এগ্রো ডেইরি ফার্মের মালিক সৈকত আলী রনি।
এর আগে গত ১৯ জুন ‘নেইমারের দাম ১০ লাখ, মেসি বিক্রি হবে ১২ লাখে’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগো নিউজ। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর পশু দুটি দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিত পায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ফার্মটির সবচেয়ে বড় গরু ও মহিষের নাম রাখা হয় বিশ্বের জনপ্রিয় দুজন খেলোয়াড়ের নামে। আড়াই বছর বয়সের ভারতীয় শাহিওয়াল জাতের গরুর নাম রাখা হয় ‘নেইমার’ ও নিলিরাভি জাতের মহিষটির নাম রাখা হয় ‘মেসি’।
নেইমারের গায়ের রঙ ছিল সাদা। ১০ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতার গরুটির ওজন ছিল ২৫ মণ। আর মেসি নামের ৩০ মণের মহিষটি ছিল কুচকুচে কালো-বাদামি রঙের। মহিষটি লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট ছিল।
আলী এগ্রো ডেইরি ফার্মের মালিক সৈকত আলী রনি বলেন, ‘জাগো নিউজে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ক্রেতা আমাদের ফার্মে আসেন গরু ও মহিষটিকে কিনতে। তবে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় তাদের বিক্রি করিনি। এবারের ঈদুল আজহায় আমি নিজেই পশু দুটি কোরবানি দিয়েছি। নিজের ফার্মের প্রিয় গরু ও মহিষকে কোরবানি দিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার জানান, নারায়ণগঞ্জে এবার এক লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় বেশি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল। জেলার বিশেষায়িত খামার ছাড়াও সাধারণ খামার ও কৃষকরা বাড়িতে গবাদিপশু পালন করে কোরবানির জন্য তৈরি করেন। তবে এবার এগ্রো ফার্মগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল বেশি।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এসআর/জিকেএস