আলীনগরের দেড় কিলোমিটার রাস্তা গ্রামবাসীর গলার কাঁটা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২৩

প্রতিটি গ্রাম হবে শহর। শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে। পাকা সড়কের মাধ্যমে সব গ্রামকে জেলা-উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এগিয়ে চলছে বর্তমান সরকার। কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামে। একটি পাকা রাস্তার অভাবে চরম দুর্ভোগে আছেন এই গ্রামের দেড় হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, ওই ইউনিয়নের কপিতপাড়া মোড় থেকে আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তার পুরোটাই কাঁচা ও ভাঙাচোরা। এলাকায় শিক্ষার্থীসহ প্রায় দেড় হাজার নানা পেশাজীবী মানুষের বাস। তাদের মধ্যে ২০ শতাংশ মানুষ অটোরিকশা চালিয়েই জীবিকানির্বাহ করলেও বাকি ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল।

আর এসব নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাই হচ্ছে এটি। কিন্তু বহু বছর ধরে রাস্তার এমন বেহাল দশা থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে চরম দুর্ভোগে আছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। শুকনা মৌসুমে কোনোরকম চলাচল করতে পারলেও বর্ষায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে সঠিক সময়ে তারা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন না। এছাড়া বৃষ্টি হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ে। শিশুরা কাদামাটি পেরিয়ে স্কুলে যেতে চায় না।

আলীনগর গ্রামের পশুচিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এই এলাকায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের বসবাস, যার অধিকাংশই কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে যেতে বাড়তি টাকা গুনতে হয়। নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি করে দেবেন বলে জানালেও পরে তাদের আর খোঁজ মেলে না।

Ali-2.jpg

মাঈনুল ইসলাম রিফাত নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, এই সরকারের আমলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আমাদের এলাকায় তেমন একটা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখনো সেই কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে হয়। ফলে একদিকে যেমন সময়ের অপচয় হয়, অন্যদিকে সঠিক সময়ে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে না পারায় সেগুলো নষ্ট হয়। ফলে লোকসান গুনতে হয়।

এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে রশিদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মুনছুর জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তাটির অবস্থা অনেক খারাপ। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকেও জানিয়েছি। কিন্তু আমার ওয়ার্ডের জন্য মাত্র এক লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি যা যথেষ্ট না।

রশিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার ফজলুল হক জাগো নিউজকে বলেন, দুর্ভোগের বিষয়টি আমি জানি। এরইমধ্যে এই রাস্তার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে রাস্তার কাজ ধরা হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান জাগো নিউজকে বলেন, বরাদ্দের বিষয়ে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন।

মো. নাসিম উদ্দিন/এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।