৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ

ভোমরা বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ২২ আগস্ট ২০২৩

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করার পর গত তিনদিনে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে পেঁয়াজের আমদানি কমেছে। অথচ গত সপ্তাহেও বন্দরে প্রতিদিন ১৩০-১৬০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দুদিনে ১৫৪ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) পেঁয়াজ এসেছে মাত্র ৮৭ ট্রাক।

বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ বেড়েছে। সে অনুযায়ী দেশের বাজারে দাম নেই। এজন্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন তারা।

এদিকে শুল্ক নির্ধারণের খবরে বন্দরের পাইকারি আড়তগুলোতে কেজিতে পেয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত।

jagonews24

আরও পড়ুন: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ ভারতের

ভোমরা বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক তপন কুমার বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে তিন মাস পেঁয়াজ আমাদানি বন্ধ ছিল। এরপর গত ৫ জুন থেকে আবারও পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তবে গতবছরের চেয়ে এবার কেজিপ্রতি ৫-৮ টাকা বেশি দামে ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তার ওপর পরিবহন খরচ ও ভারতীয় বন্দরে বিভিন্ন চাঁদা তো রয়েছেই। এসব খরচ হিসেব করে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বন্দর থেকেই ৪০- ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। এরই মধ্যে ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণের খবরে গত দুদিন পেঁয়াজ আমদানি করছি না। নতুন দাম নির্ধারণ হলে আবার আমদানি করবো।

তিনি বলেন, ‘বন্দরে আজ (সোমবার) কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। অথচ খুচরা বাজারে বেড়েছে ২৫ টাকা। এটি আড়তদার ও মজুতদারদের জন্য হয়েছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই।’

আরও পড়ুন: ভারতের শুল্ক আরোপে বাংলাদেশে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

বন্দরের আরেক আমদানিকারক মো. মোহসিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ বন্দর এলাকায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকায়। শুল্ক প্রত্যাহার না হলে এখনই দাম কমার সম্ভাবনা নেই।’

ভোমরা সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা জাগো নিউজকে বলেন, শুল্ক নির্ধারণের খবরে অনেক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছেন। শুল্ক আরোপ করায় ভারতীয় কৃষকরা সেটি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এটি প্রত্যাহার হলে আবারও আমদানি বাড়বে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমদানি কমলেও বন্দরের গোডাউন ও আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। এজন্য আমদানি কম হলেও এখনই বাজারে প্রভাব পড়ার কথা না। কিন্তু মজুতদাররা খুচরা বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

jagonews24

আরও পড়ুন: যেকোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি: কৃষিমন্ত্রী-

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন জাগো নিউজকে জানান, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করার পর চলতি সপ্তাহে আমদানি হঠৎ করেই অর্ধেকে নেমেছে।

তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের ২২ আগস্ট পর্যন্ত সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে মোট ৯০ হাজার ১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা আমাদানি হয়েছে তা গতবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।

আহসানুর রহমান রাজীব/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।