সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের দায়ে গ্রেফতার ৬

সুন্দরবনের মরা পশুর খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে আটক ৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে বনের মরা পশুর খাল থেকে বন প্রহরীরা তাদের আটক করেন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব জানান, প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করে আসছেন জেলে নামধারী দুর্বৃত্তরা। তাদেরকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। সোমবার দিবাগত রাতে বিষ দিয়ে মরা পশুর খালে মাছ শিকার করছিলো একদল দুর্বৃত্ত। খবর পেয়ে টহলরত বন প্রহরীরা অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৬ দুর্বৃত্তকে আটক করে।
আটকদের মধ্যে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল হাওলাদারের ছোট ভাই ফরিদ হাওলাদার (৪৫) রয়েছেন। বাকি ৫ জন হলেন- সজিব বয়াতি (২০), চঞ্চল হাওলাদার (২৫), মো. লিটন হাওলাদার (২৬), মো. বশিরুল খাঁন (২৮) ও আউয়াল খাঁন (২৭)। তাদের সবার বাড়ি চিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা গেছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই বোতল বিষ (কীটনাশক), ৪০ কেজি বিষযুক্ত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ২টি নৌকা ও ২ সেট অবৈধ টোন জাল জব্দ করেন বন প্রহরীরা। আটক এ দুর্বৃত্তদের নামে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই স্টেশনের আওতাধীন মরা পশুর টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার দাকোপ থানায় বন অপরাধ আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আসামিদেরকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠায়।
এদিকে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আটক ফরিদ হাওলাদারের ভাই চিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল হাওলাদার বলেন, যে যেমন কর্ম করবে, তার তেমন ফল ভোগ করতে হবে। আমি কোনো অন্যায়কে সমর্থন করি না।
তবে ভাইকে ছাড়াতে এই আওয়ামী লীগ নেতা বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে মঙ্গলবার সকাল থেকে নানা রকম তদবির করে ব্যর্থ হয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আবু হোসাইন সুমন/এফএ/এএসএম