আবাসিক এলাকায় আবর্জনার স্তূপ

দুর্গন্ধ আর মশা-মাছিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৬:৪৫ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

কুড়িগ্রাম শহরের পাইকপাড়া আবাসিক এলাকায় আবর্জনার স্তূপে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে এলাকাবাসী। তবে এ বিষয়ে নীরব ভূমিকায় পৌর কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম-মোগলবাসা সড়কের পাইকপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহররক্ষা বাঁধের গর্তে আবর্জনা ডাম্পিং করে বিশাল স্তূপ তৈরি করা হয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধে ওই স্থান দিয়ে যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন আশপাশের মানুষজন।

দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দা আরকান আলী বলেন, জনবসতিপূর্ণ এমন স্থানে আবর্জনার স্তূপ রাখা মোটেই ঠিক হয়নি। আমরা এখানকার মানুষজন দূর্গন্ধ আর মশা-মাছির উপদ্রব্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।

ওই এলাকার মাদরাসা শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, দূর্গন্ধে বাড়িতে বসবাস করতে পারছি না। শিশু-বয়স্ক সবাই আছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। মাছির যন্ত্রণায় খেতে বসা যায় না। খাবারেতো বটেই, খাওয়ার সময় মাছি গিয়ে মুখেও বসে। পৌর কর্তৃপক্ষের এসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। আবাসিক এলাকায় কোন বিবেচনায় এভাবে ময়লা ফেলে তা আমাদের বুঝে আসে না। আমরা এলাকাবাসী এখান থেকে আবর্জনার স্তূপ অপসারণ চাই।

দূর্গন্ধ আর মশা-মাছিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। কুড়িগ্রাম নদীমাত্রিক এলাকা। এখানে ময়লা ফেলার মতো অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে। আবাসিক আলাকায় দুর্ভোগ সৃষ্টি করে ময়লা ফেলার প্রয়োজন পড়ে না। বিষয়টি নিয়ে পৌর মেয়রের সঙ্গে কথা বলবো।

কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মানুষের বসবাসের সমস্যা হলে সেখানে ময়লা ডাম্পিং করা উচিৎ নয়। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষেরই দেখা উচিত। জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র মো. কাজিউল ইসলাম বলেন, আমরা ডাম্পিংয়ের জন্য জায়গা খুঁজছি। জায়গা পেলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ ডাম্পিং স্টেশন সরিয়ে নেওয়া হবে।

ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।