জোড়া খুন
আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৬ আসামির যাবজ্জীবন
কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে বহুল আলোচিত জোড়া খুন মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ পৃথক ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন। হত্যার ২৩ বছরের মাথায় এ রায় ঘোষণা হলেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতদের স্বজনরা।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মুফিদুল আলম সিকদার, জালিয়াপালং ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু কায়সার শিপলু, সাজ্জাদ হোসেন সিকদার, শামশুল আলম, নুরুল কবির ও শাকের আলী।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডিত শাকের আলী ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একই মামলায় অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় আটজনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিদের ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২/১৪৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আসামিদের প্রত্যেককে আরও ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী মামলাটি পরিচালনা করেন। আসামিপক্ষে প্রধান আইনজীবী ছিলেন আবুল কালাম আজাদ।
২০০১ সালের ২৪ জুলাই জায়গা জমির বিরোধের সূত্র ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন ছলিম উল্লাহ প্রকাশ পুতন আলী মিস্ত্রি ও শামসুল আলম প্রকাশ গুরা মিয়া। পরদিন এ ঘটনায় উখিয়া থানায় মামলা করেন নাজির হোসেন। এর দীর্ঘ ২৩ বছরের মাথায় রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
সায়ীদ আলমগীর/এসজে/এমএস