ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফপুত্র রুহেলের বিপক্ষে লড়বেন গিয়াস

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান রুহেল ও গিয়াস উদ্দিন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়বেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন। একই আসন থেকে সাবেক গোয়েন্দা প্রধান সামছুল আলম চৌধুরী শামস স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিলেও নির্বাচন অংশ নেওয়া আগ্রহ নেই তার।

জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত মিরসরাই আসনে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের কয়েকশ নেতাকর্মী। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগসহ সমমনা দলের সাত প্রতিদ্বন্দ্বী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়েছিলেন তিনজন। তারা হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মেজ ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান রুহেল ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। তবে নৌকার টিকিট পেয়েছেন রুহেল।

আরও পড়ুন: মিরসরাই আসনে ৫৪ বছর পর নৌকার মাঝি পরিবর্তন

যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও খোশ মেজাজে আছেন। তিনি বলেন, মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে আমার তেমন মাথা ব্যথা নেই। আমি আগের মতো রাজপথে যুবলীগ সভাপতি ও দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করবো।

তবে মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গিয়াস উদ্দিন এরই মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, নেত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন দলের ত্যাগীদের এবার মনোনয়ন দেবেন। আমি ৭৫-এর আগে ছাত্র নেতা, পরবর্তীতে দীর্ঘ ৪৮ বছর আওয়ামী লীগে সক্রিয় রাজনীতি করছি। রাজপথে থেকে মামলা হামলা নির্যাতন কারাভোগ করেছি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রায় শেষের দিকে। এমন অবস্থায়ও আমি দলীয় মনোনয়ন পাইনি। আমার থেকে আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ মিরসরাইয়ে আর একটাও নেই। এখন আমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, আমার পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই।

গিয়াস আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সারাদেশে দলীয় মনোনয়নের বাইরে উপযুক্ত নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি থাকায় আমি মিরসরাই থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো। মিরসরাইয়ের মানুষের সেবায় আমি সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। মিরসরাইয়ের মানুষ আমাকে ভালোবাসে, তারা নির্বাচনে চায়। তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে নির্বাচনে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র নিয়েছেন সাবেক গোয়েন্দা (এনএসআই) প্রধান সামছুল আলম চৌধুরী শামস (প্রকাশ বিগ্রেডিয়ার শামস)। তিনি সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন। মনোনয়ন কিনেছেন আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের নির্দেশে। মনোনয়ন নিলেও নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে চান সাবেক এ গোয়েন্দা প্রধান।

তিনি বলেন, ভোটের চাইতে এখন সম্মান ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। মনোনয়ন দাখিলের পর নিশ্চয়ই প্রতীক বরাদ্দ হবে। সম্মানজনক ভোট না পেলে নির্বাচনে গিয়ে অপমানিত হওয়ার ইচ্ছে নেই।

শামস আরও বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে রুহেল নির্বাচন করবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করলে এমনিতেই দলের ভোট দুভাগ হয়ে যাবে। এর মধ্যে আমার ভোট করা উপযুক্ত হবে বলে মনে করছি না। ৮০ শতাংশ বলতে পারি আমি নির্বাচনে প্রার্থী থাকছি না। তবে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন পরিস্থিতি দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। এর আগে শতভাগ নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে সম্মান হারিয়ে নির্বাচন করবো না।

এম মাঈন উদ্দিন/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।