জমি বিক্রির টাকায় ভোটের প্রস্তুতি, তবে পারলেন না মনোনয়ন জমা দিতে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ এএম, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

জমি বিক্রি ও বন্ধক রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেও নির্ধারিত সময় থেকে মাত্র ৪৫ মিনিট দেরি করায় জমা দিতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে বিলম্ব জটিলতায় ব্যর্থ হন তিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার অনুরোধ করেও কোনো কাজ না হওয়ায় অবশেষে শিশুদের মতো কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দুধপাতিলা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ও পল্লী প্রাণী চিকিৎসক। তিনি বলেন, দামুড়হুদায় ৫ কাঠা জমি বিক্রি করি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকায়। অন্য দুটি জমি বন্ধক রেখে আরও ২ লাখ টাকা নিয়েছি নির্বাচন করার জন্য। ২৩ নভেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করি। এরপর ৫ হাজার ভোটারের সই নেওয়ার কাজ শেষ করি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গায় আছি। কিন্তু নির্বাচনের সব কাগজপত্র প্রস্তুত করার সময় আইনজীবীর কাছে দেরি হয়ে যায়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় বিকাল ৪টা হলেও আমি দেরিতে পৌঁছাই। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা আমার মনোনয়নপত্র জমা নেননি। তিনি বলেছেন আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ তার নেই।

জাহাঙ্গীর আরও বলেন, দীর্ঘ দিন এলাকায় কাজ করছি সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে। জমি বিক্রি করে ভোটের প্রস্তুতি ভালোভাবেই নিচ্ছিলাম। কিন্তু আমার ইচ্ছা পূরণ হলো না। স্বপ্ন থেকে গেলো। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, নির্ধারিত সময়ের পর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

হুসাইন মালিক/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।