যশোর
দিনভর বৃষ্টিতে দুর্ভোগ, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে যশোরে দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোরে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। টানা বৃষ্টিতে শহরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ও কর্মজীবীরা।
যশোর বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোরে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দিনভর বৃষ্টিতে শীত অনুভূত হওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হননি। বৃষ্টিপাতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে রিকসা-ভ্যান, ইজিবাইক চালকদের। বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করলেও যাত্রীর কম দেখা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে মুষলধারে বৃষ্টি, বেনাপোল বন্দরে পণ্য উঠানামা ব্যাহত
যাত্রীদের অভিযোগ, প্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে এসে রিকশা, ইজিবাইকে বেশি ভাড়া দিয়ে চড়তে হয়েছে। স্বাভাবিক দিনের চেয়ে কোথাও কোথাও দ্বিগুণ ভাড়াও গুণতে হয়েছে যাত্রীদের।
যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ইজিবাইকচালক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় লোকজন কম। এ কারণে আয় কম হচ্ছে।
রিকশাচালক রুহুল আমিন বলেন, প্রতিদিন ৭০০-৮০০ টাকা নিয়ে বাড়ি যেতে পারি। বৃষ্টির কারণে দুপুর পর্যন্ত ৩০০ টাকাও আয় হয়নি।
ইলিয়াস হোসেন নামের একজন বলেন, বৃষ্টির কারণে রিকশা-ইজিবাইক চালকরা ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। এক কিলোমিটারেরও কম পথ চলতে ৪০ টাকার বেশি গুণতে হয়েছে।
এদিকে বৃষ্টি হলেই যশোর পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের অন্তত ২০টি সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শহরের খড়কি এলাকার শাহ আবদুল করিম সড়ক, শহরের পিটিআই সড়কের একপ্রান্ত, নাজির শংকরপুর, খড়কি রূপকথা মোড় থেকে রেললাইন, বেজপাড়া চিরুনিকল মোড়, মিশনপাড়া, আবরপুর, বিমানবন্দর সড়ক, ষষ্ঠীতলাপাড়া, শংকরপুর চোপদারপাড়া, স্টেডিয়ামপাড়া, নীলরতন ধর সড়ক তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো সড়কে হাঁটু পানি।
এছাড়া পুকুর, মাঠ-ঘাট, পতিত জমি পানিতে ডুবে গেছে। শহরের বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি অফিসের সামনে পানি উঠেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শিক্ষাবোর্ড ও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে পানি জমে গেছে।
শহরের বেজপাড়া এলাকার মাসুদ রানা জানান, অল্প পানিতে টিবি ক্লিনিক মোড়সহ রেল রোডের বেশিরভাগ এলাকা তলিয়ে যায়। শহরের যে সব এলাকায় অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে সেখানেই এই সমস্যা বেশি হয়। তাছাড়া ড্রেনের মুখ আবর্জনায় বন্ধ থাকে ফলে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
মিলন রহমান/আরএইচ/জিকেএস