মিরসরাই
সবজিতে ভরপুর বাজার, তবুও দাম চড়া
ভরা মৌসুমেও চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে বিগত কয়েক বছরগুলোর চেয়ে এবার সবধরনের সবজির দাম বেশি। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে প্রতিটি বাজার। শীতের সবজির মধ্যে মুলা ও ফুলকপির পরিমাণ বেশি। এছাড়া আলু, বেগুন, পটোল, টমেটো, কাঁচা মরিচ, লাউ, ধনিয়া পাতা, শসা, খিরাসহ সবধরনের সবজির সরবরাহ দেখা গেছে।
হাটে লাল আলু ৭০ টাকা, বেগুন ৬০-৬৫, ফুলকপি ৫৫-৬০, বরবটি ৬০, করলা ৭০, শিম ৫০-৬০, কাঁচা মরিচ ১০০-১২০, টমেটো ৮০-১০০ এবং গাজর ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাহিদা অনুপাতে সরবরাহ বেশি বলছেন বিক্রেতারা। যদিও তাদের দাবি, নাগালের মধ্যেই রয়েছে শীতের সবজির দাম।
বড়তাকিয়া বাজারের সবজিবিক্রেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘এবার মিরসরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় সবজি উৎপাদন ভালো হয়েছে। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়ে গেছে। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় আমাদেরও চড়া দামে কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
বাজারে আসা ক্রেতা নুরুল আবছার বলেন, ‘শীতের শুরুতে সবজির যে দাম ছিল, এখনো সে দামেই কিনতে হচ্ছে। অথচ শীতের মৌসুমে সবজির দাম দম থাকার কথা।’
মিরসরাই পৌর সদরে বাজার করতে আসা কামাল উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর সবজির দাম কম থাকে, তাই চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছরের চিত্র উল্টো। শীতের মৌসুম চলছে, কিন্তু সবজির দাম কিছুতেই কমছে না। সব জিনিসের দাম বাড়তি।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বড়দারোগাহাট বাজারে কৃষকরা সরাসরি তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে আসেন। কিছু কৃষক হাটে দাঁড়িয়ে তাদের পণ্য বিক্রি করেন। তবে বেশিরভাগ আড়তদার ও খুচরা ব্যাপারীরা কৃষকদের কাছ থেকে কিনে নেন। কেউ কেউ আবার উৎপাদিত সবজি জমিতেই বিক্রি করে দেন। এ সবজিগুলো ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।
উপজেলার আমবাড়িয়া এলাকার কৃষক জানে আলম বলেন, তিনি ৬০ শতক জমিতে ফুলকপি লাগিয়েছেন। এক ভ্যান কপি নিয়ে এসেছিলেন। বিক্রি করেছেন ২০০০ টাকা মণ। বাজারে আসার পরপরই তার সব ফুলকপি বিক্রি হয়ে গেছে।
বড়দারোগাহাট বাজারের আড়তদার আবু হানিফ বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার সবজির দাম অনেক বেশি। করলার দাম এখনো একশর ঘরে। অন্য সবজি ষাটের ঘরে।
এম মাঈন উদ্দিন/এসআর/জিকেএস