মিরসরাইয়ে সপ্তাহের ব্যবধানে একশোতে পেঁয়াজের কেজি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আবারো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ১০০ টাকা। অনেক ব্যবসায়ী আগে পেঁয়াজ কেনা থাকলেও দাম বাড়ার খবরে বেশি দামেই বিক্রি করছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে মিঠাছড়া, মিরসরাই সদর ও বড়তাকিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ছোট সাইজের প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮৫ থকে ৯০ টাকা ও বড় আকারের পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল যথাক্রমে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ আগের দামে ১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারতীয় যে পেঁয়াজটি বাংলাদেশে উৎপাদন হয় সেটি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বাজারে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। পরে নতুন দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় দাম কিছুটা কমে স্থিতিশীল হয়। এখন আবার দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের।
মিরসরাই পৌরবাজারে আসা ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, সব জিনিসের দাম এমনিতে বাড়তি। এবার এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেছে। যত জ্বালা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষদের।
আরেক ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা কোনোভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবর পেলে আর দেরি করে না। আগের কম দামে কেনা পেঁয়াজও বেশি দামে বিক্রি শুরু করে। যে যার মতো টাকা আদায় করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের তৎপরতা প্রয়োজন।
বড়তাকিয়া বাজারের ব্যবসায়ী কবির আহম্মদ মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন তীব্র শীতের কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ কম তুলেছেন। যার কারণে বাজারে পেঁয়াজের কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ না হওয়ায় দাম বাড়ছে।
একই বাজারের গোলাম হোসেন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। আর হয়তো বড়জোর দেড় মাস এ পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যাবে। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম, দামও বেশি।
বারইয়ারহাট পৌর বাজারের ব্যবসায়ী নুরুল হুদা দুলাল বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করে দেশি পেঁয়াজের দাম ওঠা-নামা করে। এখনকার মানুষরা সাধারণত ভারতীয় পেঁয়াজ খায়। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার পর সেই পুরো চাপটা পড়ছে দেশি পেঁয়াজের ওপর। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ থাকে বড়জোর তিন মাস। এ পেঁয়াজ এখন শেষের দিকে। যে কারণে বাজারে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে ও দাম বাড়ছে।
মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বলেন, বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগ এখনো পাইনি। বাজারে গিয়ে মনিটরিং করবো। যদি ক্রয়ের চেয়ে অতিরিক্ত বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেয়ে থাকি তাহলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এম মাঈন উদ্দিন/এফএ/জেআইএম