শুকিয়ে গেছে খাল
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সেচ কার্যক্রম ব্যাহত
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরাতে সেচ নিয়ে শংকায় পড়েছেন উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের সহস্রাধিক কৃষক।
সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার আভ্যন্তরীণ গৈলা থেকে গুপ্তর হাট খাল, উপজেলা সদর থেকে বাশাইল খাল, ২ নম্বর ব্রিজ থেকে বাকাল হাট খাল, বাশাইল থেকে বাহাদুরপুর খাল, কাঠিরা থেকে দুশুমী খাল, কাঠিরা থেকে ঐচারমাঠ খাল, বারপাইকা থেকে বলিয়ালী খাল, দক্ষিণ শিহিপাশা থেকে সেরাল খাল, গৈলা থেকে ভদ্রপাড়া খালসহ গ্রামীণ শাখা খালগুলা শুকিয়ে যাওয়ায় এ বছর বোরা চাষে সেচ দিতে পারছেন না কৃষক।
বাকাল গ্রামের চাষী বাচ্চু ফকির জানান, পানির জন্য হাহাকার চলছে। যে সব চাষী ইরি-বোরার বীজ রোপন করছিলেন তাদের রোপিত বীজগুলা পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে।
বাশাইল গ্রামের চাষী দুলাল মৃধা জানান, বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় নাব্যতা হারিয়েছে অধিকাংশ খাল। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারের আশায় চাতক পাখির মত তাকিয়ে থাকতে হয় চাষীদের।
চাষী হাবুল সরদার ও আবু সাইদ সরদার জানান, ইরি-বোরা চাষে পানি সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে শুকিয়ে যাওয়া খাল পুনঃখনন জরুরি। তা না হলে আগামীতে উপজেলায় অনাবাদি জমি বাড়বে। পাশাপাশি চাষীরা ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হলে খাদ্য উৎপাদন ঘাটতির কবলে পড়বে।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিযুষ রায় বলেন, উপজেলায় চলতি বোরা মৌসুমে ৯ হাজার ৫১৮ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ৯ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে ইতোমধ্যেই চাষাবাদ হয়েছে। খাল খননের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
শাওন খান/এএইচ/জিকেএস