সুস্থ রয়েছে প্রসূতি-নবজাতক

প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর হাসপাতালে প্রথম অপারেশন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৪১ বছর পর চালু হলো অপারেশন থিয়েটার।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশন মাধ্যমে এ সেবার দ্বার উন্মোচন হয়েছে।

প্রথম দিনে মারুফা বেগম নামের এক প্রসূতির সিজার হয়। এতে কন্যা শিশু জন্মলাভ করেন। বর্তমানে নবজাতক ও প্রসূতি উভয়েই সুস্থ আছেন।

১৯৮৩ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালু হয়। পরে ২০১২ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও আগের জনবল দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছিল। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে জনবল সংকট থাকায় প্রসূতি স্বাস্থ্য সেবায় সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। গাইনি চিকিৎসক থাকলেও অ্যানেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ ছিলো না। ফলে অপারেশন থিয়েটার অচল পড়েছিল।

এক বছর আগে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরেই মাহমুদ হাসান রিপন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব সংকট সমাধানসহ সম্প্রতি অপারেশন থিয়েটারটি চালুর পদক্ষেপ নেন।

স্থানীয়রা জানান, কোনো প্রসূতির সিজারের প্রয়োজন হলে আগে জেলা শহর গাইবান্ধা, বিভাগীয় শহর রংপুর ও বগুড়া যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। এখন ঝামেলা ছাড়াই সিজারিয়ান সেবা পাওয়া যাবে।

প্রথম অস্ত্রোপচারে জন্ম নেওয়া শিশুটির বাবা আনিছুর রহমান বলেন, ‘স্ত্রীর সিজার নিয়ে প্রথমে কিছুটা ভয়ে ছিলাম, কারণ এটি হাসপাতালে প্রথম সিজার। সুষ্ঠুভাবে সিজার সম্পন্ন হওয়ায় হয়রানী থেকে রক্ষা ও আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছি। এমন কাজের পুরো কৃতিত্বই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আরিফুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টদের।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক ও নানা সরঞ্জামাদির অভাবে সিজারিয়ান অপারেশন চালু ছিলো না। সংসদ সদস্যের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সংকট কাটিয়ে আমরা সিজারিয়ান অপারেশন চালু করতে সক্ষম হয়েছি। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর প্রথম সিজারে আমরা সফল হয়েছি। এ সফলতা হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের।

তিনি আরও বলেন, অপারেশন থিয়েটার থেকে প্রসূতিসহ নবজাতককে কেবিনে রাখা হয়েছে। এখন থেকে এ ব্যবস্থা চালু থাকবে। এতে গ্রাম এলাকার প্রসূতিরা সহজেই সেবা পাবে।

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অপারেশনের আধুনিক টেবিল, লাইট, এনেস্থেশিয়া মেশিনসহ সিজারিয়ান সেকশনের যন্ত্রপাতি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি। ফলশ্রুতিতে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রথম একটি সুস্থ বাচ্চার জন্ম হয়।


শামীম সরকার শাহীন/এএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।