ডুমুরিয়ার সাত ইট ভাটাকে ২১ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ০৮:২৩ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম

খুলনার ডুমুরিয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইট প্রস্তুত এবং ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৭টি ইটভাটাকে ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম।

দণ্ডপ্রাপ্ত ইটভাটাগুলো হলো- খর্ণিয়া ব্রিজের উত্তর পাশে অবস্থিত শাহাজান জমাদ্দার মালিকানাধীন সান ব্রিকস, রানাই এলাকার মো. জাহিদুল ইসলাম মালিকানাধীন কেবি ব্রিকস, আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের জে.বি ব্রিকস, আমিনুর রশিদ মালিকানাধীন লুইন ব্রিকস, গাজী আব্দুল হকের সেতু ব্রিকস-৪ এবং শোলগাতিয়া এলাকায় ইকবাল জমাদ্দারের স্টোন ব্রিকস। এদের প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করে মোট ২১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ও শোলগাতিয়া এলাকায় ভদ্রা ও হরি নদীর চর ভরাটিয়া জমির কিছু অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইট ভাটা। ইট ভাটাগুলোর লাইসেন্স এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্রের মেয়াদ দুই বছরেরও বেশি সময় উত্তির্ণ হলেও অবৈধভাবে তা পরিচালিত হয়ে আসছে।

বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্ট হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামে একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভদ্রা ও হরি নদির তীরবর্তি ১৪টি ইট ভাটার জায়গা দখল এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড়াপত্রবিহীন ইট ভাটাগুলো বন্ধে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। যার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন গত বছর ২ ফেব্রুয়ারি ৬টি ইট ভাটা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা এবং ৮টি ইট ভাটা সিলগালা করে বন্ধ করে দেয়। কিন্তু অসাধু ভাটা মালিকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের ইট ভাটাগুলো আবারও পরিচালনা করতে থাকেন।

আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন জেলা পরিবেশ দপ্তরের সহকারী পরিচালক পারভেজ আহম্মেদ, থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

আলমগীর হান্নান/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।