আদালত এলাকা থেকে নারী অপহরণ, উদ্ধারে গিয়ে আহত ৪ পুলিশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৮:২৫ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মাগুরায় জেলা জজ আদালত এলাকা থেকে অপহৃত এক নারীকে উদ্ধার করতে গিয়ে অপহরণকারীদের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্থানীয় একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ অপহৃত নারীকে উদ্ধার করে। তিনি বর্তমানে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ঘটনার শিকার মাগুরা সদর উপজলার বঙ্গা বেরইল গ্রামের মাসুরা খাতুন জানান, এফিডেভিট সংক্রান্ত একটি কাজে সোমবার দুপুরে মাগুরা জেলা জজ আদালত এলাকায় যান তিনি। এ সময় কয়েকজন যুবক বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ের কনে মাসুরাকে অপহরণ করে নিয়ে যান। অপহরণকারীরা মেয়েটিকে শহরতলী ইটখোলার সোনালী ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন।

এ ঘটনার পর মেয়েটির পরিবার সদর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশের একটি দল বিকেল ৪টার দিকে ওই ইটভাটায় গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়।

এ সময় সোনালী ইটভাটার ব্যবস্থাপক জামির হাসানসহ ভাটা শ্রমিকরা লাঠি সোঠা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে সদর থানার এসআই হাফিজ উদ্দিনসহ এরশাদ, সাইফুল ও ওমর নামে ৩ সদস্য কমবেশি আহত হন। খবর পেয়ে সদর থানার অন্য পুলিশ সদস্য এবং গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এ সময় অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মাসুরা খাতুন আরও বলেন, ১২ বছর আগে মাগুরা সদর উপজেলার দেড়য়া গ্রামের দুলাল মোল্যার ছেলে ফারুকের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। নানা নির্যাতনের কারণে চার বছর আগে আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়। ওই ঘটনার পর আমার পরিবার নতুন করে বিয়ে ঠিক করলে পূর্বের স্বামী বরাবরই বাধা দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি অন্য একজনের সঙ্গে আমার বিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে। সোমবার আমি আদালতে এই বিয়ে সংক্রান্ত এফিডেভিট করতে গেলে আমার পূর্বের স্বামী ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে আমাকে অপহরণ করেন এবং ওই ভাটায় আটকে মারধর করেন। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার পুলিশের ওপর হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে সোনালী ভাটায় গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন মিলে মাসুরা নামের ওই মেয়েটিকে আটকে নির্যাতন চালিয়েছে। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর পুলিশ ভ্যানে ওঠানো হলে স্থানীয় কয়েকজন যুবকসহ ভাটা শ্রমিকরা পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় হামলা চালায়। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়লে তারা পিছু হটে। অপহরণের ঘটনায় ব্যবহৃত ৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মিলন রহমান/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।