যশোরে ‘বহুল আলোচিত’ কাউন্সিলর মিলনসহ গ্রেফতার ৪
যশোরের বহুল আলোচিত পৌর কাউন্সিলর ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে যশোরের পালবাড়ি কাঁচাবাজার এলাকায় নিজ কার্যালয় থেকে তিন সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া বাকি তিনজন হলেন- শহরের টালিখোলা এলাকার শেখ দস্তগীর হোসেন উজ্জ্বল, শেখ দস্তগীর হোসেন উজ্জ্বল ও কদমতলা এলাকার শফিকুল ইসলাম। আটকের পর পুলিশ এই চারজনকে নিয়ে যশোরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ওয়াশ করানো হয়। এ ঘটনায় মামলার পর বুধবার রাতেই আসামিদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর গ্রেফতারদের কাছ থেকে তিন বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া মিলনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে যেগুলো আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।
যশোর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) পলাশ বিশ্বাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাঁচাবাজার সংলগ্ন ওয়াহিদ নামক এক ব্যক্তির ভাড়া দেওয়া ভবনে অবস্থিত ইন্টারনেট ব্যবসার অফিসে অভিযান চালানো হয়। সেসময় অফিসের মধ্যে কাউন্সিলর কয়েকজনকে মাদক সেবন করতে দেখা যায়। পুলিশ সেখান থেকে পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলনসহ চারজনকে আটক করে। এছাড়া ওই অফিসের ভেতর থেকে কয়েক বোতল বিদেশি মদও জব্দ করা হয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, অনুসন্ধান চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জাহিদ হাসান মিলন ওরফে টাক মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালে র্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে দুবাই চলে যান তিনি। নাগালের বাইরে থাকায় তখন মিলনকে গ্রেফতার করতে পারেনি যশোর পুলিশ। অবশেষে দুবাই থেকে দেশে ফেরার পথে মিলনকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। অভিযোগ রয়েছে, ওই হত্যাকাণ্ডের মূলপরিকল্পনাকারী টাক মিলন। ওই মামলায় আটক এক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে টাক মিলনের নাম উঠে আসে। এই মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, অভিযোগ রয়েছে।
মিলন রহমান/এসএএইচ