২০ কোটি টাকা হাতিয়ে দুবাই পালানোর চেষ্টা এনজিও পরিচালকের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এনজিওটির পরিচালকসহ ছয়জনকে আটক করেছে র‍্যাব

নওগাঁয় গ্রাহকদের সঞ্চয় করা প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়া ডলফিন সেভিং অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) পরিচালকসহ ছয়জনকে আটক করেছে র‍্যাব।

এনজিওটির পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক দুবাই পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে এরমধ্যেই তিনি র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েন।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় র‍্যাব-৫ ও র‍্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে আব্দুর রাজ্জাককে আটক করা হয়। এরপর নওগাঁ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাকি পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

আটকরা হলেন ডলফিন সেভিং অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী সুমি বেগম, সংস্থার সভাপতি পিয়ার আলী ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগম (আব্দুর রাজ্জাকের বোন), ম্যানেজার আতোয়ার রহমান ও ক্যাশিয়ার রিপন।

jagonews24

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, নওগাঁ সদর উপজেলার ফতেপুর বাজারে ২০১৩ সালে সমবায় থেকে নিবন্ধন নিয়ে ডলফিন সেভিং অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি সংস্থা গড়ে তোলেন একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। যেখানে বিভিন্ন গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্থায়ী আমানত ও ক্ষুদ্র সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। গ্রাহকদের প্রতি লাখে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা দিতেন।

তবে গত কয়েকমাস ধরে গ্রাহকদের মুনাফা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন রাজ্জাক। হঠাৎ করেই গত ২০ জানুয়ারি সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করে পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যরা প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচারের পর র‍্যাবের নজরে আসে। এরপর গোপনে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।  

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুর রাজ্জাকের দুবাই পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। খবর পেয়ে রোববার ভোরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার তারাব বাসস্ট্যান্ড থেকে র‍্যাব-১১ এর সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। এরপর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাকি পাঁচজনকে আটক করা হয়। আটকদের নওগাঁ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মশিউর রহমান/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।