রংপুর

চড়া মুরগির বাজার, সবজিতে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ১২:০৮ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির দাম। সেইসঙ্গে দাম বেড়েছে গরুর মাংস ও পেঁয়াজের। তবে দাম কমেছে সবজির। এছাড়া অপরিবর্তীত রয়েছে চাল, তেল, ডাল ও মাছের বাজার।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চিকন বেগুন ৭০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা এবং মাঝারি ও গোল বেগুন ৮০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ৪০-৫০ টাকা থেকে কমে ৩০-৩৫, গাজর ৪০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে আগের মতো ২৫-৩০ টাকা, করলা ৭৫-৮০ টাকা থেকে লাফিয়ে ১৫০-১৬০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১৫ টাকা, শুকনা মরিচের দাম কমে ৪৮০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ (আকারভেদে) ৭০-৮০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালির দাম ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৩৫০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিপিসের দাম কমে ১৫-২০ টাকা টাকা, ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ১৫-২০ টাকা, মুলা ২০-২৫ টাকা, দেশি পুরাতন রসুনের দাম কমে ২৮০-৩০০ টাকা থেকে হয়েছে ২২০-২৪০ টাকা এবং নতুন রসুনের দাম ১৫০-১৬০ টাকা। বাজারে নতুন আসা পটলের কেজি ১৭০-১৮০ টাকা এবং সবধরনের শাকের আঁটির দাম ১৫ থেকে ২৫ টাকা।

এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা। এছাড়া পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪০-৪২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৪-৪৫ টাকা।

বাজারে আসা নতুন কার্ডিনাল আলুর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা, শিল আলুর দাম কমে ৫৫-৬০ টাকা, বগুড়ার সাদা পাকরি আলু ৫০ টাকা, গ্রানুলা ৩৫-৪০ টাকা এবং ঝাউ আলু ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা এবং দেশি আদার কেজি ২৩০-২৪০ টাকা।

মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা আজিজ মিয়া বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে বেগুনসহ বেশ কিছু সবজির দাম অনেকটাই কমেছে। বাজারে কখন কোন জিনিসের দাম বাড়ে আর কমে তা বলা মুশকিল।

চড়া মুরগির বাজার, সবজিতে স্বস্তি

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা চিনির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় একটু কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ১৪৫-১৫০ টাকা থেকে কমে এখন ১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা আগের মতোই ৫৫-৬০ টাকা, খোলা আটা ৪৮-৫০ টাকা, ছোলাবুট ৯৫-১০০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১২০ টাকা, চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৭০-১৮০ টাকা এবং বুটডাল ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ১৯০-২০০ টাকা থেকে হয়েছে ২১০-২২০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম বেড়ে ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড ২৭০-২৮০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়ে হয়েছে ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আল আমিন বলেন, রোজার আগে মুরগির বাজার সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে। এখন দাম বাড়ছে, আরও বাড়বে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৩ টাকা এবং দুই লিটার ৩৪৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতো ৫০ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৬০-৬২ টাকা, বিআর২৮ ৬৫ টাকা মিনিকেট ৭২-৭৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।