খৎনার সময় শিশুর পুরুষাঙ্গ কাটার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে খৎনা করার সময় এক শিশুর পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি শিশুটির পরিবারের।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে এখন ওই হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগী শিশু আল নাহিয়ান তানভীর (৮) উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আলমগীরের ছেলে।

শিশুটির পরিবারের লোকজন জানায়, বেলা ১১টার দিকে শিশু তানভীরকে খৎনা করাতে তার পরিবারের লোকজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখন সেখানে মেডিকেল অফিসার উপস্থিত ছিলেন না। উপসহকারী মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে এবং চিকিৎসা সহকারী সৌরভ ভৌমিক ভুল করে শিশুটির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেলেন।

এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটির স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম ও উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আবু নাছেরসহ জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা অন্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ভুক্তভোগী শিশু তানভীরের বাবা মো. আলমগীর বলেন, আমরা শিশুকে খৎনা করাতে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আসছেন বলে বিজয় ও সৌরভ নিজেরাই খৎনা করান। এতে আমার ছেলের পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তপাতে আমরা ভয় পেয়ে যাই এবং ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। বর্তমানে চিকিৎসকরা শঙ্কামুক্ত বললেও আমরা শিশুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। আমি জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

শিশুটির চাচা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ ফরিদ ফরহাদ জাগো নিউজকে বলেন, জরুরি বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ফোন দিলে দায়িত্বে থাকা ডা. মো. সাহাদাত হোসেন সাগর ফোন রিসিভ করলেও কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

এদিকে উপসহকারী মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে এবং চিকিৎসা সহকারী সৌরভ ভৌমিকের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার আকষ্মিকতায় আমরাও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। শিশুটি আজকেও (বৃহস্পতিবার) জুস খেয়েছে। এখন ভালো আছে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় নোয়াখালীর সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মাহামুদ চৌধুরী বলেন, আমরা ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জেনেছি। গুরুতর কোনো ঘটনা ঘটেনি। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। তবে দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।