সীমান্তে হত্যা-আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সীমান্ত হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ গণশক্তি পার্টি লালমনিরহাট শহরে প্রতীকী লাশ নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের মিশনমোড় গোল চত্বরে সংগঠনটির আহ্বায়ক হানিফ বাংলাদেশির নেতৃত্বে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতীকী এ কর্মসূচিতে গণশক্তি পার্টির আহবায়ক হানিফ বাংলাদেশি বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ দুটি সবসময় বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন ও সীমান্তে প্রতিনিয়ত হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে যশোর সীমান্তে বাংলাদেশের এক বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। এছাড়া গত চার মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা গুলোর হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ হত্যা করেছে ও ১১৮৩ জন আহত হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ যুদ্ধে মটারশেলে বাংলাদেশে দুইজন নিহত হয়েছেন।

সীমান্তে হত্যা-আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল

আয়োজকরা জানান, এ কর্মসূচি পালনে উদ্দেশ্য সীমান্ত আগ্রাসন বন্ধে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ২০২০ সাল হতে প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম জেলায় পদযাত্রা করছেন তারা। এবার ১৬ ফেব্রুয়ারি হতে পুনরায় দেশের কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে প্রতীকী লাশ নিয়ে লালমনিরহাটসহ সকল সীমান্তবর্তী জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। এই কর্মসূচি আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি যশোর সীমান্তে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে শেষ হবে।

বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশীর দেশের সীমান্তে হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর বা গরু চোরাকারবারি, কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে গরু চোর বা চোরাকারবারি কে কী আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনে হত্যা করা যায়৷ সীমান্ত অপরাধ বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনে গ্রেফতার করে বিচার করা হোক এই দাবি আমাদের। সীমান্তে গুলি করে হত্যা কোন সমাধান হতে পারে না। তাদের দাবী দেশের সব শাসকদের আমলে দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে অন্য কোন দেশের সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তের মত বীভৎস এই আচরণ করা হয় না।

রবিউল হাসান/এনআইবি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।