অবৈধ সম্পদ অর্জন

স্ত্রীসহ সিএমপির অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০১:৫৫ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল মো. সেলিম হাওলাদার এবং তার স্ত্রী জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ মামলাটি দায়ের করেন একই কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক মেরিন আকতার।

সেলিম হাওলাদার নগরীর খুলশী থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদ জাকির হোসেন বাই লেনের বাসিন্দা। ওই এলাকার জাহানারা ভিলা নামে তার একটি বাড়ি রয়েছে। অবসরগ্রহণের আগে তিনি কনস্টেবল হিসেবে সিএমপিতে কর্মরত ছিলেন।

দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে সিএমপি বিশেষ (সিটিএসবি) থেকে অবসর নেন সেলিম হাওলাদার। তার বিরুদ্ধে দুদকে জমা হওয়া এক অভিযোগ অনুসন্ধানে স্ত্রী জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পায় দুদক। এরপর দুদকের নোটিশের প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ২১ মার্চ দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সম্পদ বিবরণী জমা দেন। জমা সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং ১ কোটি ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৯৪৮ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক।

জাহানারা বেগম মূলত একজন গৃহিনী। তার স্বামী সেলিম হাওলাদার পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন অবৈধ আয়ের টাকায় জাহানারা বেগম এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুদকে জমা দেওয়া বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার অভিযোগ এনে জাহানারা বেগম ও তার স্বামী মো. সেলিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে দুদক।

এমডিআইএইচ/কেএএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।