পদ্মার চরে ১১ দিন আটকে আছে পাথরবোঝাই জাহাজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৯:২০ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পাথর নিয়ে পদ্মার চরে ১১ দিনের বেশি আটকে থাকা এমভি আতিয়ারের চার স্টাফ দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ১৮৩ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে ভারতের ময়া ছেড়ে এসে পদ্মার হাকিমপুর চরে এসে জাহাজটি আটকে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাথরবোঝাই এমভি আতিয়া ভারতের ময়া থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি রওয়ানা হয়। মেঘনা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এ পাথর আমদানির এলসি খোলেন মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ী। কিন্তু সুলতানগঞ্জ ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাকিমপুর চরে এসে জাহাজটি আটকা পড়ে। এতে জাহাজে থাকা তোহা ইসলাম, ঈমান আলী, হারুনার রশিদ ও জাহাজ মাস্টার জুনাইদের সেখানে আটকা পড়েন।

জাহাজের স্টাফ তোহা ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, পানির গভীরতা কম হওয়ায় গন্তব্যের ১২ কিলোমিটার দূরে জাহাজটি আটকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা। পাশেই ভারতীয় সীমান্ত। আর এখান থেকে লোকালয়ে যেতে প্রায় এক ঘণ্টা হাটতে হয়। কোন যানবাহন চলাচল করে না। এমনকি চারদিকে কোনো মানুষের সন্ধানও পাচ্ছি না। কর্তৃপক্ষে সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা হয়নি।

জাহাজের মাস্টার জুনাইদ ইসলাম বলেন, ১১ দিন ধরে পদ্মার চরে আমরা চারজন আটকে আছি। এখানে জাহাজে বসবাস করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক কষ্ট হচ্ছে আমাদের। আমাদের কাছে যে খাবার ছিল সেটি শেষ হয়ে গেছে। খাবার কিনতে পায়ে হেটে প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। আমরা অসহায় হয়ে এখানে আছি।

আমদানিকারক মনিরুজ্জামান বলেন, আটকে যাওয়া ওই জাহাজের পাথর বিকল্প উপায়ে আনতে ২০ ফেব্রুয়ারি সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উপ-কাস্টমস কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তবে এখনো কোনো সাড়া পাইনি।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কাস্টমস বিভাগের উপ-কমিশনার নুর উদ্দিন মিলন বলেন, পণ্যবাহী জাহাজ লোড-আনলোডের সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। তাদের আবেদনের পর রাজশাহীর কাস্টমস কমিশনারের কার্যালয় থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোহান মাহমুদ/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।