পাবনায় হাসপাতালসহ ৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পাবনা
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণার অভিযোগে পাবনার অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র কাশীনাথপুরে তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় হাসপাতাল তিনটিসহ ছয় প্রতিষ্ঠানকে মোট দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনভর এসব প্রতিষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন, ভোক্তা অধিকার এবং র্যাব যৌথ অভিযান চালায়।

হাসপাতালগুলো হলো কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল, সেবা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সততা ডেন্টাল কেয়ার।

যৌথ আভিযানিক টিম ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এ তিনটি প্রতিষ্ঠানহ জেলার মোট ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, পাবনা জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় মঙ্গলবার সারাদিন অভিযান পরিচালনা করা হয়। সুজানগর উপজেলার মেসার্স কেয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল নামক প্রতিষ্ঠানকে সেবা গ্রহীতার জীবন বিপন্নকারী কাযকলাপের জন্য এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য ৭০ হাজার টাকা, সাঁথিয়া উপজেলার মেসার্স সেবা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কে জীবন বিপন্নকারী কার্যকলাপের অপরাধে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স সততা ডেন্টাল কেয়ার নামক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা, সদর উপজেলার মেসার্স রতন ফুড পোডাক্টস নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স লামিয়া মেডিকেল হলকে পাঁচ হাজার টাকা, সাঁথিয়া উপজেলার মেসার্স পাইকারী ফার্মেসি অ্যান্ড সার্জিক্যাল নামক প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পাবনায় হাসপাতালসহ ৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

এদের মধ্যে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল, সেবা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সততা ডেন্টাল কেয়ার নামক তিনিট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান মালিককে আগামী সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন শহিদুল্লাহ দেওয়ান জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিাচলনা করে কথিত হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার নামে নানা অব্যবস্থাপনার চিত্র পাওয়া যায়। চিকিৎসক-নার্স না থাকাসহ ল্যাবে রিয়েজেন্টও পাওয়া যায়নি অনেক প্রতিষ্ঠানে।

তিনি জানান, ইসিজির মত একটি গুরুত্বপূর্ণ কক্ষে ছিল না কোনো টেকনিশিয়ান। এ যেন মানুষের জীবন নিয়ে খেলা চলছে। কিছু কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের কে নার্স হিসেবে দেখানো হচ্ছিলো। যারা জানে না ইসিজি কি বা এ মেশিন কিভাবে চালাতে হয়। তাদের ল্যাবে যত রিয়েজেন্ট রয়েছে তারে কোনোটিরই মেয়াদ নেই। ভবনের প্রতিটি কক্ষ নোংরা আবর্জনায় পূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়া ঝটিকা অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিাচলনার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের এএসপি মনোয়ার হোসেন, সাথিয়ার উপজেলা হেলথ এন্ড ফ্যামিলি প্লানিং অফিসার সুজয় সাহা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাহমুদ হাসান রনি প্রমুখ।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এনআইবি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।