ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন

পছন্দের প্রার্থীর প্রচারণায় খাদ্য কর্মকর্তা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ১১:০৪ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে আলোচনার মুখে পড়েছেন জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা নামে এক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা। জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা জামালপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসাবে কর্মরত।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী শরাফ উদ্দিন ও মেয়র প্রার্থী অ্যাড. সাদেকুল হক খান মিল্কী টজুর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা। যার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা সোনিয়া আক্তার বলেন, রুমা ভাবি এ এলাকার সবার পরিচিত। তার বাসা আমাদের বাসার পাশেই। তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী শরাফ উদ্দিনের পক্ষে ভোট চাইছেন। এ এলাকায় এসে প্রচারপত্র বিলির পাশাপাশি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ভোট দিতে আমাদের বলেছেন। তবে আমাদের এলাকার উন্নয়নে যে কাজ করবে আমরা তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করব।

জিন্নাত আরা নামের আরেক ভোটার বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী শরাফ উদ্দিন ও আব্দুল মান্নানের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ এলাকায় দুজনের কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা ঠেলাগাড়ি প্রতীকের শরাফ উদ্দিনের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে আমাদের কাছে ভোট চেয়েছেন তিনি। তবে যে যোগ্য আমরা তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করব।

পছন্দের প্রার্থীর প্রচারণায় খাদ্য কর্মকর্তা

প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে জামালপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা বলেন, আমার পছন্দের লোক আমার আত্মীয়ও হতে পারে। তাই তার জন্য কারো কাছে ভোট চাইতেই পারি। আমার চাকরি ঠিক রেখে সবকিছু করছি। আমি টজু ভাইকে পছন্দ করছি, শরাফ ভাইকে পছন্দ করছি বা তাদের পক্ষে প্রচারণা করছি। এ বিষয়ে যা পারেন লিখেন। আমার বক্তব্য রেকর্ড করে ভাইরাল করেন। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো সরকারি কর্মকর্তা কারো পক্ষ নিয়ে নির্বাচনে প্রচারণায় নামতে পারবেন না। সে বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। যদি এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পাই তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নাঈম মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সরকারি চাকরি করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে এলাকার কেউ প্রার্থী হলে তার পক্ষে সমর্থন থাকতে পারে। প্রকাশ্যে প্রচারে নামা যাবে না। খোঁজ-খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঞ্জুরুল ইসলাম/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।