পিকনিকের বাসে সামনে বসা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৫:১৮ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২৪

মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব কলাগাছিয়ায় পিকনিকের বাসে সামনে বসা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামের অমল হালদার (৫০), সুমন হালদার (২৪), রাধিকা হালদার (৫০), লিটন হালদার (৪২), বিপ্লব হালদার (৫০), মনমোহন মন্ডল (৪০), শ্যামল হালদার (৫৭), বিশু হালদার (৫২), মানিক হালদার (৪৫), অখিল হালদার (৫৫), পরিতোষ হালদার (৩৫), নারায়ণ হালদার (৪৫), প্রতাপ হালদার (২৫), প্রেমানন্দ হালদার (৫৭), খিরোদ বৈরাগী (৬০), অধির রায় (৩৫), মুনমত রায় (৩০), রতন শিকদার (৪৫), প্রকাশ বৈরাগী (১৭), শান্ত মণ্ডল (১৮), বাবুল মৃধা ( ১৮)। বাকিদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

পিকনিকের বাসে সামনে বসা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০

আহতরা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামের ‘নিত্যানন্দ গোষ্মামী স্মৃতি সংঘ’ ক্লাব থেকে নড়াইলে পিকনিকে যায় অর্ধশত মানুষ। পিকনিক শেষে ফেরার পথে বাসে সামনে বসা নিয়ে একই এলাকার সুশীন হালদারের ছেলে মিল্টন হালদার ও জগদীশ বৈরাগীর ছেলে প্রকাশ বৈরাগীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে রাতে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এলাকার মুরব্বিরা বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব নেন।

কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হালদার ও বৈরাগী বংশের দুই গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত মিল্টন হালদার ও আরেক অভিযুক্ত প্রকাশ বৈরাগীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ইউপি সদস্য মামুন ফকির বলেন, এলাকার মুরব্বিদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ দুপক্ষের উত্তেজনা, পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মারামারির ঘটনায় আহত ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। এক সঙ্গে এতো রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, পিকনিকের বাসে সামনে বসা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখনও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এনআইবি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।