বেলকুচিতে ব্যাংকের ম্যানেজারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০২৪

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংক পিএলসি তামাই শাখার ভল্ট থেকে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উধাও হওয়ার ঘটনায় ব্যবস্থাপকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের পাবনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খাইরুল হক জাগো নিউজকে জানান, জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম তামাই শাখার পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন থেকে চারজনের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে গত ২৫ মার্চ বেলকুচি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগটি থানা জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। পরে অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনা বরাবর পাঠায়। পরে জিডিমূলে প্রাপ্ত অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় বরাবর পাঠানো হলে ৩১ মার্চ মামলা রুজুর অনুমোদন প্রদান করেন। এরপর ১ এপ্রিল সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- তামাই জনতা ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ধানবান্ধী মহল্লার হারান শেখের ছেলে আল-আমিন (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক ও বগুড়ার ধুনট থানার বেলকুচি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম (৩৪), সাবেক ক্যাশ অফিসার ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নতুন ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার আব্দুল কাদের শেখের ছেলে খালেদ ইউনুছ (৩১), ব্যাংক অফিসার ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বনবাড়িয়া কাদাই গ্রামের জিয়াউল হকের ছেলে রাশেদুল হাসান (৩৪) ও ক্যাশ অফিসার এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চর রায়পুর মহল্লার শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহ মখদুম উদ্দৌলা (২৯)।

এসব আসামিদের মধ্যে ব্যবস্থাপক আল-আমিন, সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও ব্যাংক অফিসার রাশেদুল হাসানকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

বেলকুচিতে ব্যাংকের ম্যানেজারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মামলা সূত্রে জানা যায়, জনতা ব্যাংক তামাই শাখা নিয়ে সিরাজগঞ্জ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) নজরুল ইসলামের কিছুটা সন্দেহ হয়। এ জন্য তিনি ২০ মার্চ আরও দুই কর্মকর্তাসহ ব্যাংকে গেলে দেখতে পান ব্যবস্থাপক ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যাংকে অনুপস্থিত। কিন্তু পরীক্ষামূলক পরিদর্শনকালে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার গরমিল পাওয়া যায়। পরে ২৪ মার্চ ব্যবস্থাপক ব্যাংকে এসে এ দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় ২০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিলেও অবশিষ্ট টাকা দিতে ব্যর্থ হয়।

ব্যাংকটির নতুন শাখা ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া অফিসের যুগ্ম-পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করেছেন।

সিরাজগঞ্জ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকের ভল্টে কম পেয়েছি। অভিযুক্তরা এই টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। যে কারণে তাদের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

এম এ মালেক/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।