রাঙ্গামাটিতে ব্যাংকে ব্যাংকে নিরাপত্তা জোরদার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: ০৪:২৫ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংকে ডাকাতির পর পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

সোনালী ব্যাংক পার্বত্য অঞ্চলের ডিজিএম মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, রুমা ও থানচি ঘটনার পর ব্যাংক কর্মকর্তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ শাখাগুলো নিয়ে আমরা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি শাখার নিকটবর্তী থানায় নিরাপত্তার আবেদন করার পর পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছেন। প্রিন্সিপাল অফিস থেকে একটি মনিটরিং টিম পুরো বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছেন।

রাঙ্গামাটিতে ব্যাংকে ব্যাংকে নিরাপত্তা জোরদার

এক প্রশ্নের জবাবে এ ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার বান্দরবান সীমান্তবর্তী রাজস্থলী, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বাঘাইছড়ি ও বরকল উপজেলার ব্যাংকের শাখাগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

সোনালী ব্যাংক রাজস্থলী শাখার ব্যবস্থাপক ক্য সুই চিং মারমা বলেন, আমরা ভয়ের মধ্যে দিয়ে ব্যাংক কার্যক্রম চালাচ্ছি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহলে রয়েছে।

সোনালী ব্যাংক বাঘাইছড়ি ব্যপস্থাপক সনজিত কুমার নাথ জানান, আমরা উপজেলার বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত আবেদন করেছি। আমাদের ব্যাংকে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ছাড়াও চারজন পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন। আরও চারজন পুলিশ কর্মকর্তা টহল টিমে রয়েছেন। আমাদের কাছে মোটামুটি নগদ অর্থ রয়েছে। তবে আশা করা যায় কোনো সমস্যা হবে না।

রাঙ্গামাটিতে ব্যাংকে ব্যাংকে নিরাপত্তা জোরদার

রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সর্তকতায় রয়েছি। প্রতিটি ব্যাংকে বাড়তি পুলিশ নিয়োজিত করার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সব গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কাজ করছে। দুর্গম এলাকার ব্যাংকের শাখাগুলোতে আপাতত বাড়তি লিকুইড মানি না রাখতে বলা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে এ সংগঠনের তেমন কোনো সক্রিয়তা আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তবে গত বছর বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি এলাকায় একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর খোঁজ পাওয়ার পর যৌথবাহিনী তাদের আস্তানায় অপারেশন চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়। তাদের সঙ্গে কেএনএফের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে বলে জানা যায়। যেটাই হোক আমরা সর্তক থাকবো। এমন কর্মকাণ্ড রাঙ্গামাটিতে যেনো না হয় সে বিষয়ে নজরদারি থাকবে।

সাইফুল উদ্দীন/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।