ধুলা-বালু মাড়িয়ে সড়কে চলা দায়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের প্রধান সড়কের একাংশ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে সড়কটিতে খোয়া বিছানো থাকলেও তার ওপর পড়েনি কোনো প্রলেপ। এ অবস্থায় ধুলা-বালু মাড়িয়ে চলা দায় হয়ে পড়েছে।

ইউনিয়নের প্রধান সড়কে গিয়ে দেখা যায়, পাখিমারা খেয়াঘাট থেকে চৌদ্দরশী সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে বিগত দুই বছরে ডাবল ইটের সোলিংয়ের কাজ হয়েছে পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে। বাকি আট কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচ কিলোমিটার মাটির সড়ক। পার্শ্ববর্তী গাবুরা ইউনিয়নের মানুষের স্থলভাগে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ব্যস্ততম এ সড়কটি। তবে সড়কটির অবস্থা বেহাল। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।

ইউনিয়নের পাতাখালী গ্রামের বাসিন্দা শাহিন আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সড়কের দিকে তাকালে মনে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো এক দেশের সড়ক এটি। জনপ্রতিনিধিরা রাস্তা করে দিতে না পারলেও বালুর ওপর পানি ছিটিয়ে অন্তত চলাচলের ব্যবস্থা করলে তো জনগণ বাঁচতে পারে। বছর যায় বছর আসে কিন্তু সড়কে না পড়ে ইট, না পড়ে পানি। এখন বালুর স্তূপে পরিণত হয়েছে।’

ধুলা-বালু মাড়িয়ে সড়কে চলা দায়

একই এলাকার বাসিন্দা মাসুম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা উপকূলীয় এলাকার মানুষ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে চলাচলে মাধ্যম নৌপথ বন্ধ হয়ে যায়। একমাত্র সড়কটিরও বেহাল দশা। এখানে কোনো গাড়ি চলাচল করে না। একমাত্র মোটরসাইকেল আমাদের ভরসা। সেটিও এ সড়কে চলাচল করতে পারছে না। সড়কটি পাকা করা হলে আমাদের অনেক উপকার হয়।’

এ বিষয়ে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সড়কটি নির্মাণে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছি। সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি আগামীতে সড়কটির কাজ সম্পন্ন হবে।

সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন, কিছুদিন আগে এক কিলোমিটার ইটের সোলিংয়ের টেন্ডার হয়েছে। আগামীতে অর্থ বরাদ্দ পেলে আমরা বাকি সড়কটুকুতে কাজ করবো। এ বিষয়ে কাজ চলমান।

আহসানুর রহমান রাজীব/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।