যানবাহন উঠলেই কাঁপে সেতু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পুরোনো পলেস্তারা খসে পড়ে রড দেখা যাচ্ছে। ফাটল ধরেছে পিলারগুলোতেও। ভারী যানবাহন উঠলেই থরথরে কাঁপে। মনে হয়ে এই বুঝি ভেঙে পড়লো সেতু। এ অবস্থাতেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।

ভঙ্গুর সেতুটির অবস্থান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের করাতিরহাট সড়কের বেড়ির মাথা এলাকায়। অর্ধলক্ষাধিক মানুষের জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এটি। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই বছরের পর বছর সেতুটি ব্যবহার করে আসছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন, আবদুল হালিম, জয়নাল আবেদিন ও কুলসুম বেগমসহ কয়েকজন জানান, প্রায় ৩৫ বছর আগে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তখন এ অঞ্চলে জনবসতি কম ছিল। এখন জনবসতি বেড়েছে। এখানে উৎপাদিত ফসল, মেঘনা নদী থেকে আহরিত মাছসহ বিভিন্ন কাজে বড় পিকআপভ্যান আসা-যাওয়া করে।

যানবাহন উঠলেই কাঁপে সেতু

প্রতিদিনই শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা জেলা শহরে আসা-যাওয়া করে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে ছোট ছোট ট্রলি, রিকশা-ভ্যান চলাচলও সরব রয়েছে। এতে সেতুটি এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তবে যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে সেতুটির। গাড়ি চলাচলের সময় পাশ থেকে দাঁড়িয়ে দেখা যায় সেতুটি থরথর করে কাঁপছে।

অটোরিকশাচালক আবদুল করিম বলেন, ‘সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ। আমার রিকশা উঠলেও কেঁপে ওঠে। এখানে নতুন সেতু হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কাউকে উদ্যোগ নিতে দেখছি না।’

স্থানীয় বাসিন্দা শেফালি বেগম বলেন, ‘এই সেতুটি আমাদের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম। এটি ভেঙে গেলে চলাচলের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। চেয়ারম্যান -মেম্বাররা সেতু করে দেবেন বলে আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো খবর নেই।’

যানবাহন উঠলেই কাঁপে সেতু

এ বিষয়ে চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল সরকার বলেন, পলেস্তারা ও রেলিং ভেঙে সেতুটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি সেতুর ওপরের অংশের কয়েকটি স্থানে আমি ঢালাই করে দিয়েছি। তবে নিচের অংশে সম্ভব হয়নি। জরাজীর্ণ সেতুটি ভেঙে পড়ে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

চররমনী মোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল বলেন, নতুন সেতু বরাদ্দের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। সেতুটি হলে এ অঞ্চলের মানুষের উপকার হবে।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, নতুন সেতুর জন্য আবেদন করা আছে। তবে এখনো অনুমোদন হয়নি। অনুমোদন দিলে সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে।

কে কে
কাজল কায়েস/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।