সমঝোতার কথা বলে প্রার্থীর স্বাক্ষর নিয়ে প্রত্যাহারের চেষ্টা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২৪

জামালপুরে সমঝোতার কথা বলে স্বাক্ষর নিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থী নিজে লিখিত অভিযোগ নিয়ে অবস্থান করছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজনও সমঝোতার জন্য একই স্থানে উপস্থিত ছিলেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিন উল্লেখ করেন, সমঝোতার কথা বলে কিছু লোক আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর আদায় করে। পরে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেয়। আমি এই সমঝোতায় একমত নই। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, দুপুরের কিছু আগে সামস উদ্দিনের স্বাক্ষরকৃত প্রার্থিতা প্রত্যাহার সংক্রান্ত আবেদন জমা দেন প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন। এর কিছু পরই পাল্টা অভিযোগ নিয়ে সশরীরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হন সামস উদ্দিন।

সমঝোতার কথা বলে প্রার্থীর স্বাক্ষর নিয়ে প্রত্যাহারের চেষ্টা

স্থানীয় সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ীতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পোগলদিঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন সমঝোতার কথা বলে আমার স্বাক্ষর নেয় এবং ওই স্বাক্ষরে প্রত্যাহারের আবেদন লিখে তারাই নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। ঘটনার শোনার পর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পাল্টা আবেদন করেছি।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের লিখিত আবেদন নিয়ে অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম এসেছিলেন। উপজেলা কার্যালয়ে জমার নিয়ম না থাকায় তাকে জেলায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সমঝোতার কথা বলে প্রার্থীর স্বাক্ষর নিয়ে প্রত্যাহারের চেষ্টা

এবিষয়ে এডভোকেট শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, সমঝোতা কীভাবে হয়েছে তা জানি না। প্রত্যাহারের আবেদন আমি নিয়ে যাইনি, নেতাকর্মীরা নিয়ে গেছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শায়েনুজ্জামান জানান, প্রত্যাহারের শেষ সময় সোমবার। একবার সামস উদ্দিনের নামে প্রত্যাহারের আবেদন পেয়েছি, পরে আবার প্রার্থী নিজে এসে বলছেন যে- তিনি প্রত্যাহার করেননি। আমরা আইনগত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

মো. নাসিম উদ্দিন/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।