গাজীপুরে বনাঞ্চল জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ দাবি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
প্রকাশিত: ০৮:৪৬ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২৪

বন ও জলবায়ূ রক্ষায় গাজীপুরের বনাঞ্চল অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন ও অবৈধ করাতকল ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন (গাপা) ঢাকা বনবিভাগের রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন পালন করে।

গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ফেডরিক মুকুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নেতৃত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি মোছাদ্দেকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ আহমেদ, এনামুল হক, এস এম কামাল প্রমুখ।

এতে সংগঠনের কর্মীরা ছাড়াও স্থানীয় আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও এলাকাবাসী বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাজীপুরের সরকারি বনাঞ্চল একশ্রেণীর বনদস্যু দখল করে অবৈধভাবে নানা স্থাপনা, কলকারখানা গড়ে তুলছে। এতে একদিকে বনভূমি উজাড় হচ্ছে, অন্যদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জলবায়ুর উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ দখলকার্যে বনবিভাগের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। এছাড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আশপাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ করাতকল। এসব করাতকলে বনের গাছ চেরাই করে কাঠ পাচার করা হয়।

বক্তারা আরও বলেন, গাজীপুর জেলায় জবরদখলকারীরা বন অধিদপ্তরের ঢাকা বনবিভাগ ও বন্যপ্রাণী বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ৬ হাজার ৮৬ দশমিক ৮৪ একর সংরক্ষিত বনভূমি ইতোমধ্যে দখল করে উজাড় করেছে। দখলকৃত এসব জায়গায় কলকারখানা, দোকানপাট, কটেজ, রিসোর্ট, ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করেছে। বনবিভাগ ৬৭ দফায় মোট ৬ হাজার ১২৮ দশমিক ১৯ একর সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনে উচ্ছেদ প্রস্তাব প্রেরণ করলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে জবরদখলকারীরা প্রতিনিয়ত বন উজাড় করছে। এতে গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী বনাঞ্চল উজাড় হয়ে জীববৈচিত্র বিলীন হচ্ছে।

মো. আমিনুল ইসলাম/এএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।