সিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৭ বছর পর রহস্য উদঘাটন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৪

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে দীর্ঘ সাত বছর পর শিশু সুবর্ণাকে (৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজগঞ্জ পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটজন যুবক ও কিশোর মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় শিশুকে। পিবিআই এর তদন্তে এটি উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার দত্তকান্দি গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০), আরফান মেম্বারের ছেলে শাকিব খান (২১) ও বছির মেম্বারের ছেলে মিলন পাশা (২৭)। এদের মধ্যে সাব্বির ও সাকিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রেজাউল করিম জানান, ২০১৭ সালে ২৬ মার্চ উপজেলার দত্তকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা। সেখানে ওই গ্রামের রশিদ মেম্বারের ছেলে মিলন পাশাসহ অন্যান্য আসামিরা সাব্বির হোসেনের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে দেখে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী শিশুটিকে ধর্ষণের জন্য সাব্বির হোসেনকে সাত হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। সাব্বির প্রস্তাবে রাজি হয়ে শিশু সুবর্ণাকে মধ্য শিমুলিয়া চরের ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে তারা দলবেঁধে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বারবার বলতে থাকে ধর্ষণের কথা সবাইকে বলে দিবে। শিশুর মুখে এ কথা শোনার পর ধর্ষণকারীরা তার গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ রেখে চলে যায়।

তিনি আরও জানান, ২৭ মার্চ সকালে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা শুকুর আলী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে বাদী আদালতে নারাজি আবেদন দেন। পরে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

এম এ মালেক/এনআইবি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।