এমপি একরামকে বহিষ্কারের দাবি জেলা আওয়ামী লীগের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে দল এবং সংসদ সদস্যের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা এ দাবি জানান।
এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সূবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী (সেলিম)।

তিনি বলেন, নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহার করে সূবর্ণচরে নিজের ছেলেকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানাতে চান। ইতোমধ্যে তার অশালীন, হুমকিমূলক বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এমপি একরামের ছেলেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন। কিন্তু একরাম চৌধুরী সে নির্দেশ অমান্য করে চরম অন্যায় করেছেন। আমরা তার বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী (সেলিম) নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলার টানা তিনবারের চেয়ারম্যান। তার সঙ্গে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে এখানে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল, আবদুল মালেক উকিলের ছেলে গোলাম মহিউদ্দিন কাতু, সূবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান নাছেরসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন জাগো নিউজকে বলেন, এমপি একরামুল করিম দলের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার অল্পবয়সী ছেলেকে দলের বয়োবৃদ্ধ সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছেন। এছাড়া তিনি (এমপি একরাম) দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বেফাঁস মন্তব্য করে যাচ্ছেন। আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর বিচার চাই।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, একজন সংসদ সদস্য নিজের ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন। এখন তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে জেলায় অবস্থান করে প্রশাসনে প্রভাব খাটাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ নির্বাচনকালীন সময় যাতে এমপি একরামকে যাতে নোয়াখালী থাকতে দেওয়া না হয়।

সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ইকবাল হোসেন মজনু/এএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।