প্রতিপক্ষের দেওয়ালে এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ পরিবার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ১১:০৫ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে বাড়ির চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে একটি পরিবারকে।

ভুক্তভোগী ওই পরিবারের অভিযোগ, ক্ষমতার দাপটেই তাদের ক্রয়কৃত রাস্তার জমিতে ইটের দেওয়াল তুলে বন্ধ করে রেখেছেন এলাকার প্রভাবশালী মোমেন। এতে একমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না তারা। অবরুদ্ধ হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে অসহায় এই পরিবারটিকে।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরতলীর চৌড়হাস মৌজার- ৪৪৭৪ দাগের পিটিআই রোডের মোহাম্মদ আবদুল রহিম সড়কের ০ দশমিক ৬১ একর জমির মালিক প্রবাসীর স্ত্রী নাজমা খাতুন। সেখানেই দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ছেলে-মেয়ে ও পরিবার-পরিজনকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জোরপূর্বক ইটের দেওয়াল তুলে ওই পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন এলাকার প্রভাবশালী মোমেন। এতে অসহায় জীবন যাপন করতে হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে। নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

ভুক্তভোগী নাজমা খাতুন জানান, ক্রয়কৃত এই জমিতে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ছেলে-মেয়ে ও পরিবার-পরিজনকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন তিনি। হঠাৎ করেই গত ১৮ এপ্রিল ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন প্রভাবশালী মোমেন। এতে নিজ বাড়িতেই প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন তারা। এর থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

প্রতিপক্ষের দেওয়ালে এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ পরিবার

এ বিষয়ে মোমেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, নিজের জমির সীমানা নির্ধারণের পরই জমিতে ইটের দেওয়াল তুলেছি। তবে দাবিকৃত জমির স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মোমেন।

কুষ্টিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল হক মুরাদ বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে কেউ কারো জায়গায় দেওয়াল তুললে এতে আমাদের কিছুই করার নেই।

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীল বলেন, কারো চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল-মামুন সাগর/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।