জামালপুরে শেখ হাসিনা হেলথ্ টেকনোলজিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ১৯ মে ২০২৪

হোস্টেলের সিট ও খাবার বাণিজ্যসহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে জামালপুরের শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ্ টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে ইনস্টিটিউটের লেকচারার ডা. শাহ্ মো. মোখলেছুর বিরুদ্ধে ‘মোখলেছ হটাও, আইএইচটি বাঁচাও’ দাবিতে মুখর হয়ে ওঠে। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী সূত্র জানায়, কলেজে প্রিন্সিপাল থাকলেও মুখলেছুর রহমান নিজেকে অঘোষিত প্রিন্সিপাল হিসেবে মনে করেন। তিনি এ কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে পাঠদানে অবহেলা, হোস্টেলের সিট বরাদ্দ, খাবার বাণিজ্যসহ নানাভাবে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রেখেছেন। তার কারণে মাঝেমধ্যে ক্লাসের সময় নষ্ট হলেও ১০ মিনিটের বেশি পাঠদান করেন না।

এছাড়া ক্লাসে নানা কথা বলে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করেন। হোস্টেলের ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদ করলেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নম্বর কম, সাইলেন্ট এবসেন্ট, ফেল, ছাত্রত্ব বাতিল, হোস্টেলের সিট বাতিলের হুমকিসহ অভিভাবকদের ডেকে এনে হেনস্তা করেন।

বিক্ষোভ চলাকালে কলেজের শিক্ষার্থী কৌশিক, মেহেদী হাসান, আতিক কাওসার ও বৈশাখী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, মুখলেছুর রহমান হোস্টেল সুপার রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগসাজশে হোস্টেলের খাবার মিল নির্ধারণ করে টাকা আত্মসাৎ করেন। শিক্ষার্থীর খাবার না খেলেও মাসিক খাবারের টাকা গুণতে হয়। কলেজের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয়া, বুয়া, বাবুর্চিদের বেতন থাকা সত্ত্বেও প্রতিমাসে একশত টাকা করে ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. শাহ্ মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা এবং বানোয়াট।

ইসলামপুর শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ ডা. মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সত্যি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।