করোনাভাইরাস: তারল্য সংকটে বন্ড বিক্রি করতে পারবে ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ২২ মার্চ ২০২০

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এমন অবস্থায় ব্যাংকগুলোতে যদি তারল্য সংকট দেখা দেয় তাহলে বিধিবদ্ধ জমা বা এসএলআর সংরক্ষণের পর অতিরিক্ত বন্ড বা সরকারি সিকিউরিটিজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতে পারবে।

রোববার (২২মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও খেলাপি হবে না। এমন সময় ব্যাংকগুলোতে যদি তারল্য সংকট হয় তাহলে ইচ্ছে করলে তাদের মেয়াদি বন্ড বা সরকারি সিকিউরিটিজ বিক্রি করে যেন নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারে তাই এ সুবিধা দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট সরকারি সিকিউরিটিজের সেকেন্ডারি মার্কেট উন্নয়নের পাশাপাশি মুদ্রানীতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং প্রয়োজনে তা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রয় করে থাকে। উক্ত লেনদেনসমূহ বাজার মূল্যে সম্পাদন করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতভাবে সরকারি সিকিউরিটিজের বিপরীতে রেপো সুবিধা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের তারল্য ব্যবস্থাপনায় যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় কার্যক্রম জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এ লক্ষ্যে কোনো তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ (এসএলআর) সংরক্ষণের পর অতিরিক্ত সরকারি সিকিউরিটিজ থাকলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বাজারমূল্যে বিক্রয় করতে পারবে। এরূপ বিক্রয়ের প্রয়োজন হলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ওই বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।

এসআই/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।