করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৮১ শতাংশ কর্মজীবী: আইএলও

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৪ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পুরো বিশ্ব এখন লকডাউন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কারখানা পুরোপুরি কিংবা আংশিক বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে বর্তমানে ৩৩০ কোটি কর্মজীবী মানুষের মধ্যে ৮১ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত করোনার বিপর্যয়ে কর্মসংস্থান ও কর্মঘণ্টায় প্রভাব বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুল ধরেছে।

এতে বলা হয়েছে, করোনার বিপর্যয়ের কারণে ২০২০ সালে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) বিশ্বব্যাপী মোট কর্মঘণ্টার ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যাবে; যা সাড়ে ১৯ কোটি পূর্ণকালীন শ্রমিকের কর্মঘণ্টার সমান। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ৫০ লাখ পূর্ণকালীন শ্রমিকের কাজের সমান কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে। ইউরোপে এক কোটি ২০ লাখ এবং এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ১২৫ কোটি পূর্ণকালীন শ্রমিকের কাজের সমান কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে। আর সার্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেই কর্মঘণ্টায় বলছে আইএলও।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনার বিপর্যয়ের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে আবাসন, হোটেল-মোটেল, খাবার ব্যবসা, উৎপাদন, খুচরা ব্যবসা। এতে শ্রমবাজারে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে তা নির্ভর করছে এ ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কোন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বা নেবে তার ওপর।

নতুন এক সমীক্ষা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক এ শ্রম সংস্থা বলছে, বিশ্বের ১২৫ কোটি শ্রমিক সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন। তারা যেসব খাতে কাজ করেন ওইসব প্রতিষ্ঠান করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এসব খাতের অনেক কর্মী ছাঁটাই হবে আবার অনেকের মজুরি ও কাজের সময় কমে যাবে।

আইএলও তথ্য বলছে, কাজ হারানো বা মজুরি কমে যাওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলোতে কাজ করেন এমন ৪৩ শতাংশ আমেরিকা অঞ্চলের এবং আফ্রিকা অঞ্চলের ২৬ শতাংশ শ্রমিক রয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, উন্নত ও উন্নয়নশীল- দেশগুলোর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকেরা করোনার কারণে বেশি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছেন। অতি দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত ও তা বাস্তবায়ন করতে পারলেই টিকে থাকা সম্ভব হবে।

এসআই/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।