শ্রমিকদের বেতন : ঋণ আবেদনের সময় ২ মে পর্যন্ত বাড়ল
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এ তহবিল থেকে ঋণের জন্য আবেদনের সময় ২ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে ২০ এপ্রিল ঋণ আবেদনের শেষ সময় ছিল। পরে দেশের তৈরি পোশাকের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএসহ বিভিন্ন শিল্প-বাণিজ্য সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এছাড়া বিশেষ তহবিল থেকে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) এবং হাইটেক পার্কের টাইপ-বি (দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানাধীন) শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা যাবে। আগে এসব এলাকার শুধু টাইপ-সি (দেশীয় মালিকানাধীন) প্রতিষ্ঠানের জন্য এ সুযোগ ছিল।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
দেশের কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, আলোচ্য আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) এবং হাইটেক পার্কের টাইপ-বি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করা যাবে।
বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, সূত্রোস্থ সার্কুলার ও সার্কুলার লেটারে উল্লিখিত সচল রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ঋণ আবেদনের সময় ২ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। ২ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক তাদের ঋণের চাহিদা বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ মের মধ্যে পাঠাবে।
এর আগে সরকারের নির্দেশনায় ২ এপ্রিল করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করে সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ওই সার্কুলারে বলা হয়, তহবিল থেকে ঋণ পাবে উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রফতানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠান। ঋণের অর্থ দিয়ে কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে। সুদবিহীন এ ঋণে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে সার্ভিসচার্জ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
এসআই/বিএ/এমকেএইচ