শপিংয়ের জন্য আড়ংয়ে লম্বা লাইন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ১১ মে ২০২০

সময় তখন দুপুর ১টা ৩০ মিনিট। রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজের পশ্চিম পাশের সিঁড়িতে ওঠার সামনের রাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু নারী-পুরুষ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা সামনের দিকে এগোচ্ছেন। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে লাইন দেখে নানা কিছুই মনে হলেও তাদের বেশ ভুষায় ভাঙবে ধারণা। তারা আসলে এসেছেন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেনাকাটা করতে। দেশের লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন ব্র্যান্ড আড়ংয়ের আউটলেটে ঢুকতে তাদের এ লাইন।

jagonews24

কথা বলে জানা গেল, তারা সবাই পণ্য সামগ্রী কেনার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করে তবেই এখানে এসেছেন। একসঙ্গে বেশকিছু ক্রেতা চলে আসায় নিবন্ধন যাচাই করেই প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে আউটলেটে। এ কারণে কিছুটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

jagonews24

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সোমবারের (১১ মে) বুলেটিন অনুসারে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৯১ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৪ জন, যা দেশে করোনা হানা দেয়ার পর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৩৯ জন, যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই মারা গেছেন ১১ জন। করোনায় আক্রান্তের এই ঊর্ধ্বমুখিতায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয় বুলেটিনে।

jagonews24

এই যখন করোনা পরিস্থিতি, তখন ঈদ সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে গত রোববার (১০ মে) থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চাঁদনী চক শপিং কমপ্লেক্সসহ রাজধানীর অনেক মার্কেট ও বিপণি-বিতানই বন্ধ থাকলেও খুলেছে কিছু মার্কেট ও দোকান। প্রায় দুই মাস পর মার্কেট খোলায় নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারাও আসছেন ধীরে ধীরে।

jagonews24

সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে বসেছেন। তবে এখনো কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাচ্ছেন না বলে জানান তারা। সবাই দাবি করছেন, তারা মার্কেটে আগত ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন।

এমইউ/এইচএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।