তারল্য বাড়াতে বছর মেয়াদি বিশেষ রেপো চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৭ পিএম, ১৩ মে ২০২০

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে এক বছর বা ৩৬০ দিন মেয়াদি বিশেষ রেপো (পুনঃক্রয় চুক্তি) চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ব্যবস্থায় বিধিবদ্ধ জমা হারের (এসএলআর) অতিরিক্ত ট্রেজারি বিল ও বন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকে জামানত রেখে তহবিল নিতে পারবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বিদ্যমান রেপোর সুদহারকে ভিত্তি ধরে বিশেষ রেপোর সুদের হার ও পরিমাণ নির্ধারিত হবে। বর্তমানে রেপোর সুদহার ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।

বুধবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে ওভারনাইট বা একদিন, ৭ দিন, ১৪ দিন ও ২৮ দিন মেয়াদি রেপো রয়েছে। বিদ্যমান এসব রেপোর ক্ষেত্রে ট্রেজারি বিল ও বন্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে টাকা ধার নিতে পারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিশেষ এ রেপোর আওতায় ট্রেজারি বিল ও বন্ড বন্ধক রেখেই তহবিল নেয়া যাবে। এরপর এই তহবিল প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ব্যবসায়ীদের চলতি মূলধন হিসেবে ঋণ বিতরণ করতে পারবে।

জানা গেছে, যে সুদহারে বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়, তা-ই রেপো রেট বা নীতি সুদহার। বাজারে নগদ তারল্যের জোগান দিতেই মুদ্রানীতির এ গুরুত্বপূর্ণ টুলসটি ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, নভেল করােনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় দেশের অর্থনীতির ওপর এর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সম্প্রতি বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব প্রণােদনা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়নে মুদ্রা বাজারে তারল্য বাবস্থাপনা সুষ্ঠুতর করার লক্ষ্যে ৬০ দিন মেয়াদী বিশেষ রেপাে (পুনঃক্রয় চুক্তি) প্রচলন করা হলাে।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান রেপাে হারকে ভিত্তি ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘােষিত মুদ্রনীতি ও মুদ্রা বাজারের তারল্য পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বিশেষ রেপাের (পুনঃ চুক্তি) সুদের হার ও পরিমাণ অকশন কমিটি কর্তৃক প্রতি অকশনে নির্ধারিত হবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। অংশগ্রণকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ধারণকৃত এসএলআরের অতিরিক্ত সরকারি সিকিউরিটিজ সাপেক্ষে জামানতযুক্ত রেপো লেনদেন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

ট্রেজারি বিল ও বন্ডের অভিহিত মূল্যের ওপর যথাক্রমে ১৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ মার্জিন প্রয়োগ করে অভিহিত মূল্যের অবশিষ্ট অর্থ রেপো হিসেবে প্রদান করা হবে। এ রেপাের বিপরীতে বন্ধকীকৃত সম্পূর্ণ সিকিউরিটিজ দায়মুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এই সিকিউরিটিজ অন্য কোনো ক্ষেত্রের জন্য জামানত বা সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে না। এর মাধ্যমে গৃহীত অর্থ দিয়ে সম্প্রতি ঘোষিত বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ রেপাের মাধ্যমে গৃহীত অর্থ বংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পূর্বানুমােদন ব্যক্তিরেকে সরকারি সিকিউরিটিজ ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিলে বিনিয়োগ করা যাবে না।

এসআই/এইচএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।