ঘরে বসে মাস্ক বানালে ফ্রি স্বাস্থ্যবীমা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৬ পিএম, ১৬ মে ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে ঘরে বসে মাস্ক বানিয়ে ফ্রি স্বাস্থ্যবীমা পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে পাকিস্তানের বাণিজ্যিক ব্যাংক জেএস ব্যাংক লিমিটেড (জেএসবিএল)। কোভিড-১৯ মহামারিতে পাকিস্তানের নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে এ সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি ব্যাংকটি।

এ প্রচার অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘মাস্ক হাম সাবকে লিয়ে’ অর্থাৎ সবার জন্য মাস্ক। এই প্রচার অভিযান বাস্তবায়নকারী অংশীদার হিসেবে রয়েছে মহাভাশ এবং জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ফাউন্ডেশন।

২০০৭ সালে দেশি-বিদেশি দু’টি বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক একীভূত করে গঠন করা হয় জেএস ব্যাংক লিমিটেড । সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী ও পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিতে এর সদর দফতর। বর্তমানে দেশটির ১৭২টি শহরে ব্যাংকটির ৩৪৫টি শাখা রয়েছে। এ ছাড়াও বাহরাইনের মানামায় একটি আন্তর্জাতিক শাখার মালিক এই ব্যাংক।

ফ্রি স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা চালু করার বিষয়ে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত করা সত্ত্বেও, সারা দেশে লকডাউন নিয়ম সহজ করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানিদের ঘরে বসে মাস্ক তৈরি করা এবং তাদের কর্মস্থলে যাতায়াত ও বাড়িতে অবস্থানের সময় নিরাপদ থাকতে উৎসাহিত করা এই প্রচারণার উদ্দেশ্য।

'একইসঙ্গে জনগণ তাদের দৈনন্দিন জীবনে ফিরে আসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সতর্কতার জন্য সর্বোত্তম প্রয়োজনকেও তুলে ধরা এই প্রচার অভিযানের লক্ষ্য।'

ফ্রি স্বাস্থ্যবীমা সুবিধাটি পাওয়ার জন্য নাগরিকদের মাস্ক তৈরির নির্দেশাবলী জানতে জেএস ব্যাংকের সামাজিক প্ল্যাটফর্ম দেখতে হবে এবং ৩১ মে’র মধ্যে সেখানে মাস্ক তৈরির একটি ভিডিও আপলোড করতে হবে।

এ সুবিধা দেয়ার বিষয়ে জেএস ব্যাংকের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাসির শামসি বলেছেন, দায়িত্বশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেএস ব্যাংক কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমাজকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা মনে করি আমাদের আত্মনির্ভরতার সংস্কৃতি জাগ্রত করা দরকার, যেখানে লোকেরা তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম।

এমএএস/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।