এপ্রিল-মে মাসের সঞ্চয়ী আমানতের বিলম্ব ফি মওকুফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ০১ জুন ২০২০

করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এ সময় অনেক আমানতকারী তাদের ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) ও বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেননি। তাই গত এপ্রিল ও মে মাসের আমানতের কিস্তি জমা প্রদান করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিলম্ব ফি বা চার্জ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আমানতকারীদের চলতি জুনের ২০ তারিখের মধ্যে এপ্রিল ও মে মাসের নির্ধারিত কিস্তি জমা দিতে হবে।

সোমবার ( ১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ও সংক্রমণ রোধে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সরকার কর্তৃক ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ, জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত জনসাধারণের বাইরে যাওয়া এবং ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক আমানতকারীর পক্ষেই তাদের ডিপোজিট পেনশন স্কিম ব্যাংকে জমা করা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি বিবেচনায় চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসের কিস্তি জমা প্রদান করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিলম্ব ফি বা চার্জ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। এছাড়া ওই সময়ে কোনো সঞ্চয় স্কিমের কিস্তি পরিশোধে অসমর্থতার কারণে তা বন্ধ বা বাতিল করা যাবে না। তবে শর্ত থাকে যে আমানতকারীকে আগামী ২০ জুনের মধ্যে এপ্রিল ও মে মাসের নির্ধারিত কিস্তি জমা করতে হবে।

এপ্রিল ও মে মাসের কিস্তি বিলম্বে জমা প্রদান করার কারণে কোনো আমানতকারীর কাছ থেকে ইতোমধ্যে কোনো ধরনের বিলম্ব ফি বা চার্জ বাবদ অর্থ আদায় করা হলে তা সংশ্লিষ্ট আমানতকারীর হিসাবে ফেরত দিতে হবে বা সমন্বয় করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয় সার্কুলারে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা এ সার্কুলারে বলা হয়, এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এসআই/এইচএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।