স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে প্রাইম ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৫ পিএম, ০৪ জুন ২০২০

প্রাণঘাতী করোনার এই দুর্যোগের সময়ে নিজস্ব কর্মীবাহিনী, গ্রাহক ও কম্যুনিটির স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাহেল আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) লাইভ ওয়েবকাস্টের মাধ্যমে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ তথ্য জানান তিনি।

উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও ফয়সাল রহমান, হেড অব কনজিউমার ব্যাংকিং এ এন এম মাহফুজ, হেড অব এমএসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ এম. ওমর তৈয়ব, হেড অব টিবি, এসএফডি ও আইডি শামস্ আবদুল্লাহ মোহাইমিন, সিওও আবদুল হালিম, হেড অব ট্রেজারি এস কে. মতিউর রহমান, হেড অব আইসিসি মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন এবং হেড অব ব্র্যান্ড ও কমিউনিকেশন্স নাজমুল করিম চৌধুরী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন তুলে ধরে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংকটির ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে সলোভিত্তিতে ৫১ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি।

২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে সালে সলোভিত্তিতে ব্যাংকটি ১৬২ কোটি টাকা পরিচালনা মুনাফা অর্জন করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের ১৩৯ কোটি টাকার চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।

৩১ মার্চ ২০২০ এ সলোভিত্তিতে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.৪৫ টাকা, যা ২০১৯ সালের একই সময়ে ছিল ০.৩৮ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে সালে সলোভিত্তিতে শেয়ারপ্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু দাঁড়ায় ২৪.১১ টাকা, যা আগের বছরে ছিল ২৩.৫০ টাকা। ৩১ মার্চ ২০২০-এ সলোভিত্তিতে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়ায় ২.১৭ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৭৪ টাকা।

ব্যাংকের এমডি ও সিইও রাহেল আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য দেশের ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড ও ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি মন্থর হওয়া সত্ত্বেও প্রাইম ব্যাংক ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে আশাব্যঞ্জক ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছে। এই দুর্যোগের সময়ে আমাদের কর্মীবাহিনী, গ্রাহক ও কম্যুনিটির স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণঝুঁকি কমাতে ন্যূনতম কর্মকর্তাদের সাহায্যে শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ফ্রন্টলাইনে নিয়োজিতদের ছাড়া অন্যান্য কর্মকর্তাদের বাসা থেকে কাজ করা অব্যাহত রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে গ্রাহকসেবার মানে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ব্যাংকের প্রতি অটুট আস্থা রাখার জন্য তিনি সম্মানিত গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার ও স্টেকহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, এই প্রাণঘাতী রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সবাইকে পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহমর্মিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যদি সদা সতর্ক থেকে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি, তাহলে অবশ্যই এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই সংকট কাটিয়ে উঠে আমরা আবার ব্যবসায়িক গতিশীলতা ফিরে পাব।

এসআই/এমএআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।