বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো আল-আরাফাহ ব্যাংক
বিভিন্ন মহলের সমালোচনা আর কর্মীদের অসন্তোষের কারণে বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বেসরকারি আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। এর আগে গত ১৮ জুন করোনার আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৪০ হাজার টাকার উপরে বেতন পান এমন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন স্তরে মোট (গ্রোস) বেতনের উপর ১০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ব্যাংকটি। যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে আগামী আগস্ট পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।
ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৪৮তম সভায় রোববার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
জাগা গেছে, আল-আরাফাহ ব্যাংক যেদিন বেতন কমানোর এই সিদ্ধান্ত নেয় ওইদিন রাতে একটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকতর উজ্জীবিত রাখার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সার্কুলারে বলা হয়, দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য ও অনস্বীকার্য। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো এবং জিডিপির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অধিকতর উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে যাতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক বেতন কমানোর সিদ্ধান্তের আগে বেসরকারি খাতের সিটি, এক্সিম ও এবি ব্যাংক কর্মীদের বেতন কমিয়েছে। মূলত ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) বেতন কমানোর জন্য সব ব্যাংকে চিঠি দেওয়ার পর কয়েকটি ব্যাংক তা কার্যকর করে। যদিও বেশিরভাগ ব্যাংক আপাতত বেতন না কমিয়ে বাড়ি ভাড়া, গাড়ির খরচ, বিভিন্ন সভাসহ অন্যান্য খরচ কমানোর চেষ্টায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এসআই/এসএইচএস/জেআইএম