সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন করোনায় আক্রান্ত
বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
রোববার (২৬ জুলাই) ব্যাংক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে। তিনি এখন বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাসরুর আরেফিন জানান, দুদিন ধরে অসুস্থ। জ্বর ও কাশিতে ভুগছেন। কোভিড-১৯ এর কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাসায় বিশ্রামে আছেন।
এর আগে মাসরুর আরেফিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন, এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে তার দ্রুত আরোগ্যে প্রার্থনা করেন।
জানা গেছে, মাসরুর আরেফিন ২০০৭ সালে রিটেইল ব্যাংকিংয়ের প্রধান হিসেবে সিটি ব্যাংকে যোগ দেন। তিনি এ ব্যাংকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেন। বর্তমানে তিনি ব্যাংকের মালয়েশিয়ার সাবসিডিয়ারি রেমিট্যান্স প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকটির মার্চেন্ট ব্যাংক সাবসিডিয়ারির পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত।
বরিশাল ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মাসরুর আরেফিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং মেলবোর্নের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি ফ্রান্সের ইনসিয়াড বিজনেস স্কুলে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উচ্চতর কোর্স করেছেন। তিনি ব্যাংকিং পেশার পাশাপাশি সাহিত্য জগতেও সমাদৃত।
ব্যাংকপাড়ার বাইরে মাসরুর আরেফিন পরিচিত কবি, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক হিসেবে। তার অনুবাদ ‘ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র’ ও ‘হোমারের ইলিয়াড’ বাংলা অনুবাদ সাহিত্যে দুটি বড় কাজ হিসেবে স্বীকৃত। এর পরে সাম্প্রতিককালে তিনি নাম করেন ‘প্রথমা’ থেকে প্রকাশিত তার দুই বহুল আলোচিত উপন্যাসের জন্য, একটি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখা "আগস্ট আবছায়া" ও অন্যটি "আলথুসার"। তার কবিতার বই দুটিরও—"ঈশ্বরদী মেয়র ও মিউলের গল্প” এবং এ বছরে প্রকাশিত "পৃথিবী এলোমেলো সকালবেলায়" এর নিজস্ব বড় পাঠকগোষ্ঠী রয়েছে।
জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনায় দি সিটি ব্যাংকের তিনজন কর্মকর্তা মারা গেছেন। তাদের মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল ব্যাংকটির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মুজতবা শাহরিয়ার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর গত ১২ মে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সেন্ট্রাল ক্লিয়ারিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও এক কর্মকর্তা মারা যান বলে ব্যাংক সূত্র জানায়।
এসআই/এফআর/এমএস