করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও শীতার্ত ১৪ হাজার পরিবারের পাশে বাংলালিংক

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ও শীতার্ত ১৪ হাজার ৫০০ পরিবারকে সহায়তা দেবে ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। প্রত্যেক পরিবারকে বাংলালিংকের পক্ষ থেকে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, আধা কেজি সুজি, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ ও ২টি করে সাবান দেয়া হবে।

বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এই ত্রাণ বিতরণ করা হবে। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলালিংক ও সেনা কল্যাণ সংস্থার মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান এবং বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থার অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর এম মঈনুদ্দিন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

ঢাকায় সেনা কল্যাণ সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ এথিক্স অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার মুনিরুজ্জামান শেখ, হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড সাস্টেইনিবিলিটি আংকিত সুরেকা, হেড অব স্টেকহোল্ডার রিলেশনস হাসিনুল কুদ্দুস, হেড অব এথিক্স অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অপারেশন মো. আদিল হোসেন এবং বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থার ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওহিদুল আলম চৌধুরী।

তাইমুর রহমান বলেন, করোনা মহামারি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং শীতার্ত পরিবারগুলোর বিভিন্ন সমস্যার কথা বিবেচনা করে আমরা চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো ত্রাণ কর্মসূচি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংক বিরূপ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই পরিবারগুলোর কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে সাহায্য করার জন্য আমরা আবারও বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।

এয়ার কমোডর এম মঈনুদ্দিন বলেন, চলমান করোনা মহামারি, শীত ও বন্যা পরবর্তী সমস্যার ফলে দেশের কিছু অঞ্চলের জনগোষ্ঠী নানা ধরনের দূর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিকূল এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য করার লক্ষ্যে বাংলালিংকের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমি মনে করি, এ ধরনের সম্মিলিত প্রয়াস দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ সৃষ্টি করে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই বছর করোনাভাইরাম মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ হাজার ৫শর বেশি পরিবারের মাঝে ইতোমধ্যে দুই পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ করেছে বাংলালিংক।

এইচএস/এমএসএইচ/এমএস